ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

২৪ ঘণ্টার নিউজরুম নিয়ে ওয়াশিংটন পোস্টের বৈপ্লবিক যাত্রা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১৬
২৪ ঘণ্টার নিউজরুম নিয়ে ওয়াশিংটন পোস্টের বৈপ্লবিক যাত্রা ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: প্রযুক্তির আশীর্বাদ নিয়ে ‘পুরনো’ ‘খোলস’ ছেড়ে দুর্দান্তভাবে বেরিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী ও ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন পত্রিকা ওয়াশিংটন পোস্ট। ৭ দিন ২৪ ঘণ্টার নতুন অত্যাধুনিক নিউজরুম নিয়ে ‘ভবিষ্যমুখি’ যাত্রা করেছে এ সংবাদ প্রতিষ্ঠান।



রাজধানী ওয়াশিংটনে নতুন করে প্রধান কার্যালয় স্থ‍াপন করে সম্প্রতি এটি উদ্বোধন করা হয়েছে। এই কার্যালয়ে এখন এক হয়ে কাজ করবেন ‘প্রযুক্তিবিদ ও সাংবাদিকেরা’। ‘প্রযুক্তিবিদ ও সাংবাদিকদের’ সমন্বয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট হয়ে উঠবে ‘দ্বাবিংশ শতাব্দীর’ সংবাদমাধ্যম।

অনলাইনে সরাসরি সম্প্রচারিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দৈনিকটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রকাশক ফ্রেড রায়ান বলেন, নতুন প্রধান কার্যালয় ২০১৬ সালের জন্য নকশা করা হয়নি, বরং যতো সম্ভব আরও দূর ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে, দ্বাবিংশ শতাব্দীর আদর্শ সংবাদ প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় হিসেবে এটিকে স্থাপন করা হয়েছে।

নতুন এই নিউজরুমে থাকছে ভিডিও স্টুডিও, অডিও স্টুডিও ও অসংখ্য ডিজিটাল পর্দা বা স্ক্রিন। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, তাদের প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদক ও সম্পাদকদের মধ্যে থাকছেন ভিডিওগ্রাফার, ফটোগ্রাফার, ডিজাইনার ও সোশ্যাল মিডিয়া এডিটর।

৭ দিন ২৪ ঘণ্টার এ সংবাদকেন্দ্রে সার্বক্ষণিক থাকবেন ২০ জন কর্মী। আর তাদের চারপাশে থাকবে ২০টি মনিটর, যাতে ওয়াশিংটন পোস্টের ভিডিওগ্রাফারদের পাঠানো ভিডিও এবং শীর্ষ নিউজ চ্যানেল ইত্যাদি প্রদর্শিত হতে থাকবে।

গতবছর ওয়াশিংটন পোস্টের ডিজিটাল পাঠকসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ৭৮ শতাংশ। এই পাঠকদের ৪০ শতাংশেরই বয়স ১৮ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দৈনিক ডজনখানেক সরাসরি ‍সাক্ষাৎকার সম্প্রচারের জন্য কার্যালয়ের দু’টি ফ্লোরে চারটি লাইভশট বা কক্ষ থাকছে। থাকছে দু’টি রেডিও স্টুডিও, যেখানে প্রতিবেদকরা সাক্ষাৎকার নিতে পারবেন, প্রয়োজনে সাউন্ড রেকর্ডিং বুথও ব্যবহার করতে পারবেন তারা। আর কার্যালয়ের লাইভ সেন্টারে করা যাবে উচ্চ-পর্যায়ের অনুষ্ঠান, নৈশভোজ, প্যানেল আলোচনা ও এমন অন্যান্য অনুষ্ঠানাদি।

অনুষ্ঠানে প্রকাশক রায়ান আরও বলেন, পাঁচ দশক আগে একটি সেরা দৈনিকের কার্যালয় স্থাপিত হয়েছিল ওয়াশিংটনে। সেখানে ইতিহাস রচিত হয়েছিল। এখন আমরা গণমাধ্যম ও প্রযুক্তি কোম্পানিতে পরিণত একটি নতুন কার্যালয় পরিচালনা করছি।

ওয়াশিংটন পোস্টের সম্পাদক মার্টি বারন বলেন, আমরা একটি বিষয়ই নিশ্চিত করতে পারি, সেটা পরিবর্তন। আর এ পরিবর্তনটা হবে খুব দ্রুত। সৃজনশীলতা নিউজরুমের প্রধান ও কেন্দ্রবিন্দু হবে।

তিনি জানান, এরইমধ্যে ডজনখানেক প্রকৌশলী নিউজরুমে এসেছেন, কেবল আমাদের সাইটকে ‘খুব দ্রুতগতির’ বানানোর জন্যই নয়, সাইটের আধেয় যেন পাঠকের চোখ ধাঁধিয়ে দেয়, সে কাজও করছেন তারা।

বারন বলেন, আজকালের পাঠকরা কেবল সংবাদ পড়েন না, এইসব সংবাদে নিজেদেরই খুঁজে বেড়ান। সে কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও আমাদের কাজের ক্ষেত্র।

অনুষ্ঠানে ওয়াশিংটন পোস্টের সত্ত্বাধিকারী জেফ বেজস বলেন, আমি সবসময়ই ‘ভবিষ্যমুখি’ থাকতে পছন্দ করি- কারণ ভবিষ্যৎ সবসময়ই আসছে।

তার মতে, ওয়াশিংটন পোস্টের পুরনো কার্যালয়ে অনেক স্মৃতিকাতরতার বিষয় আছে, কিন্তু সামনে এগিয়ে যাওয়াটা আরও সুন্দর...!

প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে গেলেও ওয়াশিংটন পোস্ট তার ‘হৃদয়’ বা সংবাদের জায়গা হারিয়ে ফেলবে না বলেও অনুষ্ঠানে জানিয়ে দেন বেজস।

বাংলাদেশ সময়: ২২১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৬
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।