ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

‘কাবুলের গুরুদুয়ারার হামলাকারী ভারতীয় নন, আফগান’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০২০
‘কাবুলের গুরুদুয়ারার হামলাকারী ভারতীয় নন, আফগান’ ঘটনাস্থলে নিরাপত্তা তৎপরতা, ছবি: সংগৃহীত

গত ২৫ মার্চ কাবুলের গুরুদুয়ারাতে হামলায় জড়িত তিনজনের যে একজনকে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে সন্দেহ করা হয়েছিল, এবার তাকে আফগানিস্তানেরই মনে করা হচ্ছে। সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্ট জেনেছে, ওই আত্মঘাতী হামলাকারী ভারতীয় নন।

সম্প্রতি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কর্তৃপক্ষ ২১ বছর বয়সী ওই হামলাকারীর ডিএনএ (ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড) পরীক্ষা চালিয়েছিল। তাতে দেখা গেছে, তিনি ভারতীয় মুহাম্মদ মুহসিন ওরফে আবু খালিদ আল নন। এক্ষেত্রে আফগানিস্তানেরই হতে পারেন হামলাকারী।

বিভিন্ন নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের সূত্র দ্য প্রিন্টকে জানিয়েছে, ওই আত্মঘাতী হামলাকারী ভারতীয় নন বলে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে তথ্য দেওয়া হয়েছে। আবার এই তথ্য দেশটির জাতীয় তদন্ত সংস্থাকেও (এনআইএ) জানানো হয়েছে।

এর আগে গত ২৫ মার্চ রাজধানী কাবুলের একটি শিখ মন্দিরে সশস্ত্র হামলায় একজন ভারতীয়সহ অন্তত ২৫ জন নিহত হন। এছাড়া কাবুলের শোরাবাজার এলাকার ওই মন্দিরে প্রায় ১৫০ জন মানুষ আটকে পড়েছিলেন।

পরে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস দাবি করে, এই হামলা তাদের কাজ। তবে আফগানিস্তানের প্রধান জঙ্গিগোষ্ঠী তালেবান এই হামলার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছিল।

দ্য প্রিন্ট বলছে, এ ঘটনার পর আইএস একজনের একটি ছবি পোস্ট করে এর দায় স্বীকার করেছিল আমাক নিউজে। সেই ছবি দেখে গোয়েন্দা সংস্থা সন্দেহ করেছিল, ছবিটি ভারতের কেরালার কাসরগদের মুহসিনের। যিনি ২০১৬ সালে আরও ১৪ জনের সঙ্গে আইএসে যোগ দিয়েছিলেন বলে মনে করা হয়।

এরপর কাবুল হামলার তদন্তের জন্য ভারতের এনআইএ তার প্রথম আন্তঃসীমান্ত মামলা নথিভুক্ত করেছিল। যেহেতু বিদেশে একজন ভারতীয় নিহত হয়েছিলেন এবং হামলাকারীদের একজনকে ভারতীয় বলে সন্দেহ করা হয়েছিল।

কিন্তু এবার পাওয়া গেছে, ওই যুবক আফগান নাগরিক হিসেবে। এক্ষেত্রে ঘটনাটির তদন্তে এ তথ্য প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছে এনআইএ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০২০
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।