পাখিরা সুন্দর। কিন্তু তোমরা কখনো কি ভেবে দেখেছো পুরুষ পাখি বেশি সুন্দর, নাকি নারী পাখি? ভাবনি, তাই না?
তোমাদের জানাই, পুরুষ পাখিরা বেশি সুন্দর, আকর্ষণীয়।
তোমরা যখন পাখি দেখবে তখন একটু মনোযোগের সঙ্গে দেখবে। ধরো, ময়ূরে কথা। ময়ূরের পেখম আছে, ময়ূরীর নেই। ময়ূর যখন পেখম মেলে নাচে, তখন তার দিক থেকে চোখ ফেরানো যায় না। নীল-সোনালি রঙের চমৎকার পেখম ছড়ায় অনাবিল সৌন্দর্য। দেখতে কতোই না ভালো লাগে। ইচ্ছে হয় একটু আদর করতে। তাই না?

অথচ সাধারণ ধারণা হলো কোনো প্রজাতির নারী সদস্যরাই বেশি সুন্দর হয়। পাশাপাশি পুরুষেরা হয় রুক্ষ ধরনের। কিন্তু অনেক পাখির ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রমও দেখা যায়। তবে সেটা খুবই কম।
চলো এবার বিজ্ঞান এ বিষয়ে কী বলে সেটা জেনে নেই।
বিষয়টি নিয়ে বিজ্ঞানী চার্লস ডারউইন তার সঙ্গী বাছাই তত্ত্বে (থিওরি অব সেক্সুয়াল সিলেকশন) অনেক যুক্তি দিয়েছেন। তিনি বলতে চেয়েছেন, কোনো প্রজাতির বিবর্তনে সহায়ক বলেই নারী-পুরুষে কিছু পার্থক্য সৃষ্টি হয়। এই পার্থক্যই ঐ প্রজাতিকে প্রকৃতিতে টিকে থাকতে সহায়তা করে।

বিপরীতে তাদের পুরুষ সঙ্গীদের থাকে আকর্ষণীয় রং ও বাহারি সাজ। পুরুষ পাখি আবার বেশ শক্তিশালীও। তাদের রয়েছে তীক্ষ্ণ ঠোঁট ও নখ। কারণ ডিমে তা দেওয়ার সময় তাদেরকেই নারী পাখিটির জন্য খাদ্য জোগাড় করে আনতে হয়। পুরুষ পাখি শিকারে ব্যবহার করে তার তীক্ষ্ণ ঠোঁট ও ধারালো নখ।

অপরদিকে, সাদামাটা বা বেশি রংচঙে না হওয়ার কারণে নারী পাখিরা নির্বিঘ্নে বাচ্চা ফোটাতে পারে। এভাবে কম সুন্দর নারী পাখিরা তাদের বংশবিস্তার ও বাচ্চা লালন পালনে বিশেষ সুবিধা পায়। এই কারণেই পুরুষ পাখিরা নারী পাখিদের চেয়ে সুন্দর হয় বেশি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৩
সম্পাদনা: আসিফ আজিজ, বিভাগীয় সম্পাদক, ইচ্ছেঘুড়ি[email protected]