জিনিসটা দেখতে অদ্ভুত সুন্দর। দেখলে কখনো মনে হয় চেনা কোনো প্রাণী বা মানুষের মূর্তি, আবার কখনো মনে হয় খোদাই করা কোনো ভাস্কর্য।

Hoodoo
এখন জানা যাক সুন্দর লাল কমলা জিনিসগুলো প্রকৃতপক্ষে কী।
নদী প্রবাহের ফলে ক্ষয়প্রাপ্ত হয় ভূমি ও পাললিক শিলাখণ্ডের স্তর। স্রোতে ভেসে আসে নানা রকম বেলেপাথর, চুনাপাথর, সিল্টস্টোন, নুড়িপাথর ও লবণ। তুষারপাতসহ এসব নানা প্রাকৃতিক ঘটনার ফলে তৈরি হতে পারে আলাদা ভূমিরূপ। এমনই এক অদ্ভুত ভূমিরূপ তৈরি হয়েছে দক্ষিণ পশ্চিম আমেরিকার ব্রাইস কেনিয়নের উতাহ প্রদেশে। কারণ এখানকার ভূমির গঠনই এমন।
হুদু সাধারণত দেখা যায় উত্তর আমেরিকার উচ্চ মালভূমি ও অনূর্বর জমিতে, দক্ষিণ ফ্রান্স, সার্বিয়া, তাইওয়ানের উত্তর উপকূল, কানাডার অনূর্বর জমিতে ও আলবার্তার ড্রুমহেলারে।
এখন থেকে প্রায় চার কোটি বছর আগে এ ভূমিরূপ আবিষ্কৃত হয়। লাল, কমলা ও সাদা রঙের অদ্ভুত গঠনের এ ভূমিরূপকে হুদু বা প্যাডেস্টিয়াল রক বলা হয়। শিলাভেদে খনিজ পদার্থ জমা হওয়ার ফলে এগুলোর রং ভিন্ন ভিন্ন হয়।

hoodoos
অনেক দেশে হুডু গবলিন নামেও পরিচিত। এগুলোর উচ্চতা সর্বোচ্চ ২০০ ফুট পর্যন্ত হয়। হুডুর আকৃতি সাধারণত বিকলাঙ্গ স্তম্ভ, কলাম, বিশালাকৃতির হাতুড়ি বা অদ্ভুত পশুর মতো হয়। কখনো কখনো হুদু দেখে প্রাচীন রাজকীয় প্রাসাদ মনে হয়।
হুদুর এই অদ্ভুত আকৃতি গঠনে মূলত বাতাস ও পানির প্রবাহ দায়ী। বিচিত্র আবহাওয়ায় শিলার গঠন পরিবর্তনের ফলেও এগুলোর আকৃতি বিচিত্র রকমের হয়।
নানারকম হুদু
আকৃতি অনুযায়ী হুদুর বিভিন্ন নাম রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ইন্ডিয়ান প্রিন্সেস, থ্রি ওয়াইজ ম্যান, ক্রকড হুডু, এট এবং ৠাবিট উল্লেখযোগ্য।
হুদু নিয়ে ধারণা
পেউতি ইন্ডিয়ানরা মনে করতো হুদু এক সময় সতন্ত্র জনগোষ্ঠী ছিল যা বিদেহী আত্মার মন্ত্রণায় পাথরে পরিণত হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৮ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৩
সম্পাদনা: আসিফ আজিজ, বিভাগীয় সম্পাদক, ইচ্ছেঘুড়ি-ichchheghuri@banglanews24.com