ঢাকা, সোমবার, ২১ বৈশাখ ১৪৩২, ০৫ মে ২০২৫, ০৭ জিলকদ ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

ফুজির মুগ্ধতায় আশিকাগা ফ্লাওয়ার পার্ক

মীম নোশিন নাওয়াল খান, নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২:৩৮, মে ৯, ২০১৪
ফুজির মুগ্ধতায় আশিকাগা ফ্লাওয়ার পার্ক

সৌন্দর্য আর কোমলতার প্রতীক ফুল। প্রকৃতির এক নিষ্পাপ, সুন্দর ও নিখুঁত সৃষ্টি।

ফুল ভালোবাসে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিলই বটে।
অন্য সবার মতো জাপানিরাও ফুল ভালোবাসে। তাদের প্রিয় ফুলগুলোর মধ্যে একটি উইস্টেরিয়া, জাপানিরা যাকে ডাকে ফুজি বলে। আর এই ফুজি ফুলকে ভালোবেসে জাপানিরা ফুজি ফুলে সাজানো একটা আস্ত উদ্যানই করে ফেলেছে।

undefined


উদ্যানটির নাম আশিকাগা ফ্লাওয়ার পার্ক। জাপানের আশিকাগা শহরে অবস্থিত এই মনোমুগ্ধকর উদ্যান। উদ্যানে ঢুকলেই চোখ জুড়িয়ে যাবে সাদা, নীল আর গোলাপি রঙের মিশেলে এক অদ্ভুত সৌন্দর্যে। এই সৌন্দর্য, মুগ্ধতা আর অপরূপ পরিবেশ সৃষ্টি করেছে ফুজি ফুল। শুধু তাই নয়, ফুজি ফুলের মতোই দেখতে হলুদ রঙের ল্যাবারনাম ফুলও (জাপানি ভাষায় কিঙ্গুসারি) তার সৌন্দর্য ঢেলেছে এই উদ্যানে।

undefined


অসংখ্য ফুজি, কিঙ্গুসারি সহ আরো নানা ফুলগাছের সমারোহে অপূর্ব এক স্থান আশিকাগা ফ্লাওয়ার পার্ক। একটি শতবর্ষী নীল ফুজি ফুলগাছ ছাতা হয়ে অসংখ্য ফুলের ছায়ায় তৈরি করেছে এক মায়াবী পরিবেশ। সাদা ফুজির ৮০ মিটার লম্বা একটি টানেল উদ্যানটির আকর্ষণ বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ। হলুদ কিঙ্গুসারির একটি টানেলও তৈরি করা হয়েছে। তবে সাদা ফুলের টানেলটির মতো আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে আরো কয়েক বছর সময় লাগবে এটির।

undefined


এছাড়াও রেস্টুরেন্ট এবং একটি দোকান রয়েছে উদ্যানটিতে। এই দোকানটিতে গাছ এবং স্থানীয় পণ্য বিক্রি করা হয়।
আশিকাগা ফ্লাওয়ার পার্কে ফুজি ফুল দেখতে যাওয়ার সবচেয়ে ভালো সময় মে মাসের শুরু। এ সময়টায় সবচেয়ে বেশি ফুল ফোটে এখানে। আর উদ্যানের প্রবেশমূল্যও নির্ভর করে ঋতুর উপর। যখন সবচেয়ে বেশি ফুল থাকে, তখন প্রবেশমূল্য হয় সবচেয়ে বেশি। এ সময়টায় প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রবেশমূল্য থাকে ১০০০ ইয়েনের কাছাকাছি।

undefined


ফুজি ফুল দেখার জন্য জাপানের সেরা স্পটগুলোর একটি আশিকাগা ফ্লাওয়ার পার্ক। বছরের এই সময়টায় নীল-সাদা-গোলাপি ফুজি তাদের সব সৌন্দর্য ঢেলে থাকে উদ্যানটিতে দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করার অপেক্ষায়।

ইচ্ছেঘুড়িতে লেখা পাঠান এই মেইলে: ichchheghuri24@gmail.com

বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।