ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

বিস্ময়কর সৃষ্টি স্টোনহেঞ্জ

মীম নোশিন নাওয়াল খান, নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫১ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৫
বিস্ময়কর সৃষ্টি স্টোনহেঞ্জ

ইংল্যান্ডের ঐতিহ্যের অংশ স্টোনহেঞ্জ। পাথরের তৈরি চমৎকার স্তম্ভ এটি।

প্রাগৈতিহাসিক এ স্তম্ভ শুধু ইংল্যান্ডের গৌরব নয়, গোটা বিশ্বের কাছে এক বিস্ময়।

উইল্টশায়ারে অবস্থিত স্টোনহেঞ্জ। অ্যামেসবারি থেকে দুই মাইল পশ্চিমে এবং স্যালিসবারি থেকে ৮ মাইল উত্তরে এর অবস্থান।


বড় বড় পাথর বৃত্তাকারে দাঁড় করিয়ে তৈরি হয়েছে স্টোনহেঞ্জ। এর চারপাশে রয়েছে মাটি দিয়ে নির্মিত বাঁধ। ধারণা করা হয় খ্রিষ্টপূর্ব ৩০০০ থেকে খ্রিষ্টপূর্ব ২০০০-এর মধ্যে নির্মিত হয় স্টোনহেঞ্জ।

তবে এ ব্যাপারে সঠিক কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। মানুষের ধারণা, নিওলিথিক ও ব্রোঞ্জ যুগের এ স্তম্ভটি মানমন্দির হিসেবে ব্যবহৃত হতো।


স্টোনহেঞ্জের সবচেয়ে বড় পাথরগুলোর উচ্চতা প্রায় ৩০ ফিট এবং ওজন প্রায় ২৫ টন। আর ব্লু-স্টোন নামে পরিচিত সবচেয়ে ছোট পাথরগুলোর ওজন প্রায় ৪ টন।

এত ভারী ভারী পাথর দূর থেকে টেনে এনে কেন স্টোনহেঞ্জ নির্মিত হয়েছিলো তার সঠিক ব্যাখ্যা আজও পাওয়া যায় না। তবে গবেষকরা বলেন, স্টোনহেঞ্জ যেখানে নির্মিত হয়েছে, সে স্থানটি এই স্তম্ভ নির্মাণের অনেক আগে থেকেই পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচিত হতো। হয়তো সেজন্যই এখানে এমন একটি স্তম্ভ নির্মিত হয়।


তবে প্রাগৈতিহাসিক যুগের এই স্তম্ভের নির্মাণ ও ব্যবহার সম্পর্কে পুরোপুরি সঠিক তথ্য জানা যায়নি এখনো। কিন্তু স্টোনহেঞ্জ নিঃসন্দেহে একটি অপূর্ব স্থাপনা। আর সেজন্যই ইউনেস্কো এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত করেছে।


মানুষের পক্ষে হয়তো স্টোনহেঞ্জের সঠিক ইতিহাস জানা আর সম্ভব নয়, কিন্তু তার দিকে তাকিয়ে মুগ্ধ তো আমরা হতেই পারি।

বাংলাদেশ সময়: ১১২৬ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৫
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।