ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

বলপয়েন্ট কলম কীভাবে এলো?

ইচ্ছেঘুড়ি ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ৪, ২০১৫
বলপয়েন্ট কলম কীভাবে এলো?

ঢাকা: কলম আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য একটি উপকরণ। সভ্যতার উন্নয়নে লেখ‍ার এ উপকরণটির গুরুত্ব কম নয়।

বিজ্ঞানের নিত্যনতুন আবিষ্কারের ভিড়ে ছোট্ট বলপয়েন্ট কলমও অন্যতম। কারণ ‍আমাদের লেখার কাজকে সবচেয়ে সহজ করেছে এটি।

কীভাবে আবিষ্কার হলো এই কলম? চলো জেনে নেওয়া যায়।

লাসজলো বাইরো নামের একজন হাঙ্গেরিয়ান সাংবাদিক প্রথম বলপয়েন্ট কলম আবিষ্কার করেন ১৯৩৮ সালে। তিনি প্রথম খেয়াল করেন সংবাদপত্রে সাধারণত যে ধরনের কালি ব্যবহার করা হয় তা দ্রুত শুকিয়ে যায়। তিনি কলমে একই ধরনের কালি ব্যবহার করার পরিকল্পনা করেন। কিন্তু তখন যে ধরনের কলম ব্যবহার হতো তাতে ওই কালি ব্যবহার করা সম্ভব ছিল না। ফলে বাইরোকে একটু বুদ্ধি খাটাতে হয়।

বাইরো ওই সব কলমের নিবের সঙ্গে একটি মসৃণ বল ব্যবহার করেন। নিবগুলো ছিলো ০.৭-১.২ মি.মি. আকারের পিতল, স্টিল বা টাংস্টেনের কার্বাইডের তৈরি কাগজে লেখার সময় বলটি ঘোরে এবং কলমের ভেতরে থাকা কালির দাগ ফেলে। এ কাজে লাসজলোর সঙ্গে কাজ করেন তার ভাই জর্জ বাইরো।

তবে এর আগেই ১৮৮৮ সালে প্রায় একই ধরনের একটি কলমের ব্যবহার করেন জন জে লাউড নামের এক ব্যক্তি। তিনি চামড়ার ওপর লেখার উদ্দেশ্য নিয়ে এ ধরনের কলমের ব্যবহার শুরু করেন।

১৯৪০ সালে বাইরো আর্জেন্টিনায় প্রথম মেধাস্বত্বের জন্য আবেদন করেন।

এসময় ব্রিটিশ রয়েল এয়ারফোর্সের নতুন এক ধরনের কলমের প্রয়োজন ছিলো। তাদের মূলত এমন এক ধরনের কলম প্রয়োজন ছিল, যা থেকে আকাশে কাজ করার সময় কালি বের হবে না। বাইরোর প্রচেষ্টায় ব্রিটিশ রয়েল এয়ারফোর্সের প্রয়োজন পূর্ণ হয়। মূলত এর পরেই বলপয়েন্ট কলম ও বাইরো ব্যাপক পরিচিতি পেয়ে যান। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী যে কলমগুলো ব্যবহৃত হচ্ছে এর একটা বড় অংশই লাসজলো বাইরোর কলমের আধুনিক সংস্করণ।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০১৫
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।