ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৪৪)

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৪ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০১৭
রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৪৪) রহস্য দ্বীপ

আমরা পাহাড়ের ওপর থেকে ফার্নের আড়ালে লুকিয়ে দেখবো, জ্যাক বলে। ওরা যদি ঘুরে বেড়াতে শুরু করে, তাহলে আমরা ফার্নের ঝোপের আড়ালে লুকিয়ে থাকবো। কথা হলো ঘুরতে এসে থাকলে ধরে নেওয়া যায় ওরা আমাদের খোঁজে আসেনি। এখানে অন্য কেউ আছে। সেটা ওরা কল্পনাও করতে পারবে না!

ওরা কি গুহার ভাঁড়ারের জিনিসগুলো খুঁজে পাবে? নোরা বলে, সে তখন চেঁচাতে থাকা মুরগি ধরতে সাহায্য করছে।
পেগি, যাও ফার্ন আর লতাগুল্ম দিয়ে ভাঁড়ারের মুখটা ঢেকে দিয়ে এসো, জ্যাক বলে।

পেগি তখনই ছুটে যায়। জ্যাক একে একে মুরগিগুলোকে ছালার ভেতর ভরে। সে পাহাড়ের অন্যপাশে একটা পরিচিত গুহার কাছে আসে। নোরাকে ডাকে, মেয়েটা তখন তার পেছনেই দাঁড়িয়ে ছিল।

নোরা! এখানকার এই ছোট্ট খোলা মুখটার কাছে বসে থাকো, দেখবে মুরগিগুলো যাতে বেরিয়ে যেতে না পারে! আমি ওদের গুহার ভেতর ছেড়ে দিয়ে আসছি!

চিৎকার চেঁচামেচি করে মুরগিগুলো থলে থেকে বেরিয়ে গুহার ভেতর ছুটে যায়। নোরা ঢুকবার পথে ফার্নের আড়ালে লুকিয়ে থাকে। তার ওখানে বসে থাকা অবস্থায় কোন মুরগি বেরিয়ে যায় না।

নৌকাটা দ্বীপের চারপাশ বৃত্তাকারে ঘুরে এসেছে, পাহাড়ের ওপর ফার্নের আড়াল থেকে নিচের হ্রদের দিকে তাকিয়ে, জ্যাক ফিসফিস করে বলে। ওরা নামার মতো একটা জায়গা খুঁজে পাচ্ছে না। ওরা ছোট্ট সৈকতটা ঘুরে দেখছে! তাহলে-ডেইজি নিরাপদ। যদি না হেঁটে হেঁটে ঘুরে দেখতে শুরু করে! আশা করছি সেও হাম্বা হাম্বা করে চেঁচিয়ে উঠবে না!

৯. দ্বীপে এলো আনন্দযাত্রী
নোরা গুটিশুটি মেরে গুহার ছোট্ট মুখের সামনে বসে থাকে। সে শুনতে পায় ভেতরে ছয়টা মুরগি, আঁচড় কাটার পাশাপাশি মৃদু কিচিরমিচির করছে। কাছেই জ্যাক হাঁটু গেড়ে বসে, ফার্নের আড়াল থেকে উঁকি মেরে নৌকাটা কোথায় যাচ্ছে তা দেখবার চেষ্টা করছে।

মাইক আমাদের নৌকাটাকে পানিতে নুইয়ে পড়া কাঁটা গাছের ঝোপের কাছে নিয়ে গিয়ে সেটাকে ওর ভেতর ঢুকিয়ে রেখেছে, নিচু স্বরে, জ্যাক বলে। জানি না ও এখন কোথায় আছে। আমি ওকে দেখতে পাচ্ছি না।
পেগি কোথায়? নোরা ফিসফিসিয়ে বলে।

এই তো আমি এখানে, নিচু স্বরে কথাটা বলে পেগি ওপরের ফার্নের ভেতর থেকে পাহাড়ের খানিকটা নিচে নেমে আসে। বলিনি, খুব ভয়ানক না? আশা করছি যেভাবেই হোক লোকগুলো এখান থেকে চলে যাবে।
পাহাড়ের নিচে হ্রদের কাছ থেকে গলার আওয়াজ ভেসে আসে।

এখানে একটা চমৎকার নামার জায়গা! একজনের গলার স্বর শুনতে পাওয়া যায়।  

চলবে...

বাংলাদেশ সময়: ২২২০ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০১৭
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।