ঢাকা, রবিবার, ২১ বৈশাখ ১৪৩২, ০৪ মে ২০২৫, ০৬ জিলকদ ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ

তৌফিকুল ইসলাম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১:০৯, আগস্ট ২৫, ২০১০
জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ

বন্ধুরা তোমরা কি জানো, তোমাদের জীবনের নানা চাহিদা, প্রত্যাশা আর প্রাপ্তি নিয়ে রয়েছে একটি আন্তর্জাতিক সনদ। আন্তর্জাতিক এই সনদের নাম ‘জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ’।

আজ থেকে অনেক দিন আগে ১৯৮৯ সালে নভেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে সবার মতামত নিয়ে এই সনদটি পাশ করা হয়। এরপর ১৯৯০ সালের সেপ্টেম্বরে এটি আন্তর্জাতিক আইনের একটি অংশে পরিনত হয়।

ইতিহাসে এটি হচ্ছে সবচেয়ে ব্যাপকভাবে গৃহীত মানবধিকার চুক্তি। জাতিসংঘের ১৯৩ টি সদস্য দেশের মধ্যে ১৯১টি দেশ চুক্তিটি অনুমোদন করেছে। আনন্দের বিষয় হচ্ছে প্রথম যে সব দেশ এই চুক্তি স্বাক্ষর ও অনুমোদন করে, বাংলাদেশ তার মধ্যে একটি।

এই সনদের ৫৪টি ধারায় শিশু কল্যাণ নিশ্চিত করাসহ সকল প্রকার শোষণ, বৈষম্য, অবহেলা এবং নির্যাতন থেকে তাদের রার বিবরণ রয়েছে। সনদে স্বীকৃত অধিকারের আওতায় স্বাস্থ্য, শিক্ষা, শিশু ও মা-বাবার সর্ম্পকে, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড, নাগরিক অধিকার, শিশু শোষন এবং আইনের সাথে বিরোধ জড়িত শিশুসহ অনেক বিষয়ই অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

তবে শিশুর অধিকার রার দায়িত্ব কোনো সরকারের একার নয়। এ দায়িত্ব শিশুদের সাথে কোন না কোনোভাবে জড়িত প্রত্যেকেরই। এদের মধ্যে রয়েছেন মা, বাবা, দাদা দাদী, বড় ভাই ও বোন, শিক্ষক এবং দাপ্তরিকভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিশুদের কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ। শিশু অধিকার শিগগিরই ইচ্ছেঘুড়িতে প্রকাশিত আরো মজার মজার অজানা তথ্য। সেসব জানতে ইচ্ছেঘুড়িতে চোখ রাখতে ভুলোনা যেনো।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।