ঢাকা, বুধবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

শিশুদের জন্য দুই দিনব্যাপী ইভ্যালি কিডস টাইম মেলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৯
শিশুদের জন্য দুই দিনব্যাপী ইভ্যালি কিডস টাইম মেলা শিশুদের জন্য ব্যতিক্রমী মেলা/ছবি- শাকিল আহমেদ

ঢাকা: রাজধানীর শিশুদের জন্য ব্যতিক্রমী এক আয়োজন করেছে শিশু শিক্ষা নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান কিডস টাইম এবং ই-কমার্স ভিত্তিক মার্কেটপ্লেস ইভ্যালি। তিন থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের সৃজনশীলতা ও ভবিষ্যত দক্ষতা উন্নয়নে সচেতন করতে প্রতিষ্ঠান দুটি আয়োজন করেছে ইভ্যালি-কিডস টাইম মেলা-২০১৯।

শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) জাতীয় শিশু একাডেমিতে অনুষ্ঠানিকভাবে এই মেলার উদ্বোধন করা হয়। প্রায় এক হাজার শিশু ও অভিভাবকদের উপস্থিতিতে এই আয়োজনের উদ্বোধন করা হয়।

আয়োজকরা বলছেন এই মেলায় শিশুরা  ক্রাফট, সৃজনশীল ডিজাইন, পাপেট তৈরি করা, ছবি আঁকা ইত্যাদির মাধ্যমে তাদের সৃজনশীলতা প্রকাশ করবে।  

মেলায় মূল আকর্ষণ হিসেবে আছে শিশুদের জন্য তৈরি করা দুইটি জোন। তিন থেকে ছয় বছরের শিশুদের জন্য জোন-১ এবং সাত থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের জন্য জোন-২। এসব জোনে অভিভাবক না বরং শুধু শিশুরাই প্রবেশ করতে পারবে। বয়স উপযোগী বিভিন্ন গেমস ও  অ্যাক্টিভিটি দিয়ে এসব জোনে শিশুরা নিজেদের ইচ্ছেমত বিচরণ করতে পারবে।  

এছাড়াও মেলা প্রাঙ্গণের বিভিন্ন স্থানে আছে শিশুদের জন্য গেমস, ডিজাইন করার জায়গা, শিশুরা বড় হয়ে কি হতে চায় সেই গল্প লেখার জন্য ‘বড় ইচ্ছে ঘর’। মূল মঞ্চে আছে শিশুদের জন্য পাপেটের সঙ্গে আনন্দ নৃত্য, ম্যাজিক শো এবং পাপেট শো।  

মেলার আয়োজন নিয়ে কিডস টাইমের মূল প্রতিষ্ঠান লাইট অব হোপ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ওয়ালিউল্লাহ ভূইয়া বলেন, ইভ্যালি কিডস মেলা দেখিয়েছে যে যখন কোনো শিশুকে তার উপযুক্ত পরিবেশ দেওয়া হয় তখন তার ভেতরের সত্যিকারের সৃজনশীলতা বের হয়ে আসে। যেকোনো শিশুর মধ্যেই যে সৃজনশীলতার বীজ রোপিত আছে এবং প্রতিটি শিশুর ক্ষমতা আছে বড় কিছু করার, তার বড় একটি নিদর্শন হয়ে থাকল এই মেলা। আমাদের বিশ্বাস বর্তমানের এই অস্থির সময়ে এই ধরনের প্রোগ্রাম ঢাকা এবং ঢাকার বাইরের শিশুদের জন্য নিয়মিতভাবে হওয়া প্রয়োজন।

শিশুদের জন্য ব্যতিক্রমী মেলাআর ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল বাংলানিউজকে বলেন, এধরনের আয়োজনের সঙ্গে থাকতে পেরে আমরা আনন্দিত। সত্যিই এটা একটা ব্যতিক্রমী আয়োজন। আর শিশুরাই আমাদের ভবিষ্যত। যান্ত্রিক এবং প্রতিযোগিতার বাজারে বেড়ে ওঠা শিশুদের মানসিক বিকাশে এমন আয়োজন আরও হওয়া উচিত।  

এবারের আয়োজনে অভিভাবকরা ছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাদের শিক্ষার্থীদের নিয়ে মেলায় এসেছেন। শিশুদের নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যেমন- গুফি, বাবুল্যান্ড, ইয়োডাসহ আরো বেশকিছু প্রতিষ্ঠান এতে অংশ নিচ্ছে। আয়োজকরা ধারণা করছেন দুই দিনে প্রায় ১০ হাজার অভিভাবক ও শিশু এতে অংশ নেবেন। তবে সকাল থেকেই বৃষ্টি হওয়ার কারণে উপস্থিতি কিছুটা কম ছিল। ।

দুই দিনব্যাপী এই মেলা চলবে শনিবার (২৬ অক্টোবর) পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে এই আয়োজন। ।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৯
এসএইচএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।