ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

গৃহবধু হত্যা মামলায় দুই পরকিয়া প্রেমিকের যাবজ্জীবন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২৩
গৃহবধু হত্যা মামলায় দুই পরকিয়া প্রেমিকের যাবজ্জীবন সংগৃহীত ছবি

সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় সেতু খাতুন নামে এক গৃহবধুকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে দুই পরকিয়া প্রেমিকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।  

মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফজলে খোদা মো. নাজির আসামিদের উপস্থিতিতে এ দণ্ডাদেশ দেন।

একই সঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা অনাদায়ে আরও ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।  

আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, উল্লাপাড়া উপজেলার এনায়েতপুর গুচ্ছগ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে নুর ইসলাম (৪৩) ও একই গ্রামের হানিফ আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম (৪৩)।  

মামলা সূত্রে জানা যায়, উল্লাপাড়া উপজেলার ঘাটিনা গ্রামের সাইফুল ইসলামের মেয়ে সেতু খাতুনের প্রথম বিয়ে বিচ্ছেদের হওয়ার কিছুদিন পর একই উপজেলার বেতকান্দি গ্রামের বাক প্রতিবন্ধী শিপন কারীর সঙ্গে দ্বিতীয় বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের আগে থেকেই নূর ইসলাম ও শফিকুল ইসলামের সঙ্গে সেতু খাতুনের পরকিয়া সম্পর্ক ছিল। তাদের মধ্যে অবৈধ সম্পর্কও চলে আসছিল।  

এ অবস্থায় গত ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে নূর ইসলাম ও শফিকুল ইসলাম সেতু খাতুনকে তার স্বামীর বাড়ী থেকে ঘাটিনা ব্রীজের পশ্চিম পাশে নিয়ে যান। সেখানে তারা অবৈধ সম্পর্কে মিলিত হতে চাইলে তাদের মধ্যে একজনকে বিয়ে করার জন্য চাপ দেন সেতু খাতুন। বিয়ে না করলে তাদের দুজনের বাড়িতে গিয়েই অশান্তি সৃষ্টির হুমকি দেন তিনি।  

এ সময় নূর ইসলাম ও শফিকুল তাদের অবৈধ সম্পর্ক ফাঁস হয়ে যাওয়ার ভয়ে সেতুকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। এবং ওইদিন রাতেই ঘাটিনা ব্রীজের পশ্চিমে ধইঞ্চা ক্ষেতে নিয়ে সেতু খাতুনের গলায় ওড়না পেঁচিয়ে দুইজন দু’দিক থেকে টেনে শ্বাসরোধে হত্যা করেন তাকে।  

এ ঘটনায় সেতু খাতুনের বাবা সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণের জন্য ১৩ জন স্বাক্ষী উপস্থাপন করেন। শুনানি শেষে আদালত আজ এ হত্যা মামলার রায় প্রদান করেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।