ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

খালেদার গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার চার্জ শুনানি ২৯ আগস্ট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৯ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০২৩
খালেদার গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার চার্জ শুনানি ২৯ আগস্ট

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নামে দায়ের করা গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় চার্জ শুনানির জন্য আগামী ২৯ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত।  

রোববার (৩০ জুলাই) ঢাকার বিশেষ জজ-৩ এর আলী হোসেন শুনানির এদিন ধার্য করেন।

 

এদিন তিন আসামির পক্ষে আইনজীবীরা অব্যাহতির (ডিসচার্জ) আবেদনের শুনানি করেন। তবে খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় তার পক্ষে আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার হাজিরা দেন। পরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের পক্ষে অব্যাহতির আবেদন শুনানির জন্য সময় আবেদন করা হয়। আর খালেদা জিয়ার পক্ষে সবশেষে শুনানি করবেন বলে জানান তার আইনজীবী। এরপর আদালত বাকি আসামিদের পক্ষে অব্যাহতির আবেদন শুনানির জন্য আগামী ২৯ আগস্ট দিন ধার্য করেন।  

আসামিপক্ষের অন্যতম আরেক আইনজীবী জিয়াউদ্দিন জিয়া এ তথ্য জানান।  

২০২২ সালের ১৭ জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে চার্জ শুনানি শেষ হয়। ওইদিন দুদকের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল। এরপর ২৪ জুলাই মামলার তিন আসামি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) সাবেক চেয়ারম্যান কমোডর জুলফিকার আলী, বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক সদস্য এ কে রশিদ উদ্দিন আহমেদ ও বন্দরের সাবেক পরিচালক (পরিবহন) এ এম সানোয়ার হোসেনের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা অব্যাহতির আবেদনের বিষয়ে শুনানি করেন।

মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর তেজগাঁও থানায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১৩ জনের নামে দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।  

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের কাজ গ্লোবাল অ্যাগ্রো ট্রেড কোম্পানিকে (গ্যাটকো) পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের প্রায় এক হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে।

২০০৮ সালের ১৩ মে তদন্ত শেষে দুদকের উপ-পরিচালক জহিরুল হুদা খালেদা জিয়াসহ ২৪ জনের নামে চার্জশিট দাখিল করেন।  

চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে আটজন মারা গেছেন। তারা হলেন- সাবেক মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া, এম কে আনোয়ার, এম শামছুল ইসলাম, জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামী, চট্টগ্রাম বন্দরের প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আহমেদ আবুল কাশেম, বিএনপি চেয়ারপারসনের ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো ও সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপির সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান কমোডর জুলফিকার আলী, প্রয়াত মন্ত্রী কর্নেল (অব.) আকবর হোসেনের স্ত্রী জাহানারা আকবর, দুই ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মন ও এ কে এম মুসা কাজল, এহসান ইউসুফ, সাবেক নৌ সচিব জুলফিকার হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক সদস্য এ কে রশিদ উদ্দিন আহমেদ, গ্লোবাল অ্যাগ্রোট্রেড প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক শাহজাহান এম হাসিব, গ্যাটকোর পরিচালক সৈয়দ তানভির আহমেদ ও সৈয়দ গালিব আহমেদ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান এ এস এম শাহাদত হোসেন, বন্দরের সাবেক পরিচালক (পরিবহন) এ এম সানোয়ার হোসেন ও বন্দরের সাবেক সদস্য লুৎফুল কবীর।  

দুই মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাবন্দি খালেদা জিয়া। পরে সেখানে অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ায় তাকে চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) স্থানান্তর করা হয়। করোনা প্রাদুর্ভাব শুরুর পর সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পেয়ে তিনি এখন গুলশানের নিজ বাসায় চিকিৎসাধীন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৮ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০২৩
কেআই/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।