ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

সিলেটে মজিদ ডাকাতের ২ ছেলের যাবজ্জীবন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০২৩
সিলেটে মজিদ ডাকাতের ২ ছেলের যাবজ্জীবন

সিলেট: ২১ বছর পর গুলি ও হত্যা মামলায় সিলেটে আলোচিত মজিদ ডাকাতের দুই ছেলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে রায়ে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।



রায়ে ৩০৭ ধারায় আরও তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।  
এছাড়া অপর আসামি আব্দুল খালিকের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) দুপুরে সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. শাহাদৎ  হোসেন প্রামাণিক এ রায় ঘোষণা করেন।  

যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, সিলেট সদর উপজেলার মেজরটিলা ইসলামপুরের পশ্চিম ভাটপাড়ার আলোচিত মজিদ মিযা ওরফে মজিদ ডাকাতের ছেলে আনা ও দারা মিয়া।

রায় ঘোষণাকালে আসামিরা কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন।  

আদালতের পেশকার মো. জয়নাল আবেদীন বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।  

মামলার বরাত দিয়ে আদালত সূত্র জানায়, ২০০১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে সিলেট সদরের খাদিমপাড়া ইউনিয়নের সদস্য আফসর আহমদ ও তার সঙ্গীয় লোকজন দাঁড়িয়ে গল্প করার সময় আসামিরা পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে হামলা ও গুলি বর্ষণ করেন। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় লোকজন তাদের হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গুলিবিদ্ধ আব্দুল কুদ্দুস বাবুল মৃত্যুবরণ করেন।  

এ ঘটনায় গুলিতে আহত ইউপি সদস্য আফসর আহমদের ভাই সিলেট নগরের মেজরটিলা ইসলামপুর মুকিরপাড়ার বাসিন্দা সোনা মিয়ার ছেলে আফজল কবীর বাদী হয়ে ২০০১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা (নং-১৪ (৯)২০০১) দায়ের করেন।  

তদন্ত শেষে কোতোয়ালি থানার সাবেক উপ পরিদর্শক (এসআই) এ কে এম ফজলুর হক ২০০৩ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি আদালতে ৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট নং-৫৫) দাখিল করেন। মামলাটি জিআর ৫৯৩/২০০১ মূলে আদালতে রেকর্ড করা হয়।  

পরবর্তীতে মহানগরে দায়রা আদালতে ১৪২৫/১৩ বিচার মূলে বিচার শুরুর পর ২০২০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়।
আদালতে ২০০৫ সালের ২১ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। আদালতের বিচারক মো. শাহাদৎ হোসন প্রামাণিক দীর্ঘ শুনানিতে ১৮ সাক্ষীর মধ্যে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ ২ জনসহ ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এ রায় ঘোষণা করেন।  

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন আদালতের পিপি সরোয়ার আহমদ চৌধুরী এবং আসামির পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মো. নুরুল হক।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০২৩
এনইউ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।