ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

সেই বিচারকের জেল-জরিমানা স্থগিত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০২৩
সেই বিচারকের জেল-জরিমানা স্থগিত

ঢাকা: কুমিল্লার সাবেক চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সোহেল রানাকে ৩০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।

হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে বিচারক সোহেল রানার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।

 

হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে একটি মামলার কাজ পরিচালনার ঘটনায় আদালত অবমাননার কারণে বিচারক মো. সোহেল রানাকে বৃহস্পতিবার সকালে  ৩০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট।  

পাশাপাশি তাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়।

একইসঙ্গে এই বিচারককে সাত দিনের মধ্যে ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

তবে এ আদেশের পরে ওই বিচারক দুপুরে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। হাইকোর্ট তাকে আপিলের শর্তে ৩০ দিনের জামিন দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. বদরুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী প্রণয় কান্তি রায়। সোহেল রানার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক।

এরপর বিকালে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন সোহেল রানা। এই আবেদনের পর চেম্বার জজ আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে ২০ নভেম্বর আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য দিন রেখেছেন।

জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৭ মার্চ কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানায় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনে মামুন চৌধুরী ও রিয়া আক্তার দম্পতির বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়।

মামলাটির কার্যক্রমের বৈধতা নিয়ে তারা হাইকোর্টে একটি আবেদন করেন। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে ২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর হাইকোর্ট রুল জারি করে মামলাটির কার্যক্রম স্থগিত করেন।

এই স্থগিতাদেশ থাকা সত্ত্বেও কুমিল্লার তৎকালীন চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা গত ১০ এপ্রিল মামলায় অভিযোগ গঠন করেন।

উচ্চ আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে বিচার কাজ পরিচালনার বিষয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন মামুন।

পরে চলতি বছরের ১৪ আগস্ট হাইকোর্ট সোহেল রানাকে তলব করে অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গত ২১ আগস্ট হাজির হতে বলেন। ধার্য তারিখে সোহেল রানা হাইকোর্টে হাজির হন এবং পরবর্তীতে জবাব দাখিল করেন।

তবে জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় গত ২৮ আগস্ট সোহেল রানার প্রতি স্বপ্রণোদিত আদালত অবমাননার রুল দেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি ৯ অক্টোবর তাকে হাইকোর্টে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে ৯ নভেম্বর সোহেল রানা সময়ের আর্জি জানান। হাইকোর্ট ১২ অক্টোবর পরবর্তী তারিখ রাখেন।

আদালত অবমাননার রুলের পরিপ্রেক্ষিতে সোহেল রানা নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তবে তার ক্ষমাপ্রার্থনা গ্রহণ না করে হাইকোর্ট বৃহস্পতিবার কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

এদিকে আদালত অবমাননার রুলের পর গত ৩১ আগস্ট সোহেল রানা মামলাটির অভিযোগ গঠনের আদেশ প্রত্যাহার করে নেন।

বর্তমানে তিনি আইন মন্ত্রণালয় সংযুক্ত।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০২৩
ইএস/এসএএইচ


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।