ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

জনগণের করের টাকা ব্যয়ে জবাবদিহিতা থাকা উচিত: হাইকোর্ট

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২৩
জনগণের করের টাকা ব্যয়ে জবাবদিহিতা থাকা উচিত: হাইকোর্ট

ঢাকা: হাইকোর্ট বলেছেন, জনগণের করের টাকা যারা ব্যয় করেন তাদের অবশ্যই দায়িত্বশীল হওয়া উচিত। শুধু দায়িত্বশীল হলেই হবে না, কীভাবে এ অর্থ ব্যয় করেন তার জবাবদিহিতাও থাকা উচিত।

 

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এম আবদুস সোবহানের ১৩৮ শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুল খারিজ করে বৃহস্পতিবার রায় দেন বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ।  

রায়ের পর্যবেক্ষণে এমন মন্তব্য করেন আদালত। আদালত বলেন, আইনের দৃষ্টিতে রিট আবেদনটি অরক্ষণীয়। যেহেতু বিতর্কিত নিয়োগ প্রক্রিয়াটি পরবর্তীতে বাতিল করা হয়েছে, সুতরাং রুলটি খারিজ করা হলো।

আদালতের রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জ্যেতির্ময় বড়ুয়া। রাবির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ বি এম আলতাফ হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।  

পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত জানান, তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ১৩৮ জনের নিয়োগ বাতিল করেছিল রাবি কর্তৃপক্ষ। তবে এই ১৩৮ জন নতুন করে আবেদন করতে পারবেন।  আবেদন করলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট আইন-বিধি অনুসারে সেই আবেদন বিবেচনা করতে পারবে।

পরে রাবির আইনজীবী আলতাফ হোসেন জানান, এ রায়ের ফলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এখন ২০১৭ সালের সংশোধিত নিয়োগ বিধিমালার অধীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগের প্রক্রিয়া পুনরায় শুরু করতে পারবে। ’ 

২০০৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাবির ভিসি হিসেবে নিয়োগ পান এম আব্দুস সোবহান। ২০১৩ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তার মেয়াদপূর্ণ হয়। পরে ২০১৭ সালের ৭ মে ফের তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০২১ সালের ৬ মে তার মেয়াদপূর্ণ হয়।

কিন্তু মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের দিন রাতে তিনি অ্যাডহক ভিত্তিতে শতাধিক নিয়োগ দেন। এটি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

পরদিন ৬ মে বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশি নিরাপত্তায় উপাচার্য এম আব্দুস সোবহান ক্যাম্পাস থেকে ত্যাগ করেন।

একইদিন অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহানের ওই নিয়োগ কার্যক্রম সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ তদন্ত কমিটি ২৩ মে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। যেখানে ১৩৮ জনের নিয়োগকে সম্পূর্ণ অবৈধ উল্লেখ করে তা বাতিলের সুপারিশ করে।

এ অবস্থায় কনজুম্যার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর পক্ষে আহ্বায়ক স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন হাইকোর্টে রিট করেন। ওই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক শুনানির পর রুলসহ আদেশ দেন হাইকোর্ট। অন্তর্বর্তী আদেশে ১৩৮ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর নিয়োগ তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়টির ২০১৭ সালের শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা কার্যকারিতাও স্থগিত করেন হাইকোর্ট।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২৩
ইএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।