ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

বিচারকের স্বাক্ষর জাল: দুই পুলিশের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ৯ জুলাই

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৭ ঘণ্টা, মে ৭, ২০২৪
বিচারকের স্বাক্ষর জাল: দুই পুলিশের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ৯ জুলাই

ঢাকা: বিচারকের স্বাক্ষর জাল করে পরোয়ানা ফেরত পাঠানোর অভিযোগে সিএমএম আদালতে মোটরযান জিআর শাখার এক কর্মকর্তাসহ দুই পুলিশের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৯ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (০৭ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলম প্রতিবেদন দাখিলের এ দিন ধার্য করেন।

 

গত বছর ২৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১০ এর বেঞ্চ সহকারী ইমরান হোসেন বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় এই মামলা করেন।

মামলার দুই আসামি হলেন- মোটরযান শাখার ইনচার্জ এসআই ফুয়াদ উদ্দিন এবং কনস্টেবল আবু মুছা।  

পরদিন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফারাহা দিবা ছন্দার আদালত তা গ্রহণ করে কোতয়ালী থানার এসআই সাইফুল ইসলামকে মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। তবে এ পর্যন্ত তিনি প্রতিবেদন দাখিল না করায় নতুন করে এ দিন নির্ধারণ করা হলো।  

আদালতে কোতয়ালী থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার এসআই আশ্রাব আলী এ তথ্য জানান।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শেখ সাদী ১০ নম্বর আদালতের পাশাপাশি মোটরযান সম্পর্কিত মামলা পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন। গত ২৪ সেপ্টেম্বর দুপুর আড়াইটার দিকে মোটরযান শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত ইনচার্জ এসআই ফুয়াদ উদ্দিন অন্যান্য নথির সঙ্গে নন এফআইআর দুটি মামলা বিচারকের কাছে উপস্থাপন করেন। কিন্তু আসামি না থাকায় বিচারক কোনো পদক্ষেপ নেননি।

পরবর্তীতে বিচারক জানতে পারেন, মামলা দুটির জব্দকৃত আলামত মোটরযান শাখার ইনচার্জ ফুয়াদ উদ্দিন ও কনস্টেবল আবু মুছা তাদের অন্যান্য সহযোগিদের যোগসাজসে বিচারকের স্বাক্ষর জাল করে পরোয়ানা ফেরত কাগজে ম্যাজিস্ট্রেটের স্বাক্ষরের জায়গায় নিজেরা স্বাক্ষর প্রদান করে আসামিদের দিয়ে দেয়। যার ফটোকপি নথিতে সংযুক্ত রয়েছে।  

তাছাড়া এ মামলার নথিতে বিচারকের কোনো স্বাক্ষর নাই এবং কোনো জরিমানা করেন নাই। বিচারক ইতিমধ্যে অবগত হয়েছেন, মোটরযান শাখার ইনচার্জ এসআই ফুয়াদ উদ্দিন ও জিআরও আবু মুছা তাদের অন্যান্য সহযোগীদের যোগসাজসে দীর্ঘদিন ধরে বিচারকের স্বাক্ষর জাল করে একই ধরনের অপরাধ করে আসছেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।

মামলার পর থেকে তারা দুজন কর্মস্থল থেকে পলাতক রয়েছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১২০১ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০২৪
কেআই/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।