ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ইউনাইটেড হাসপাতালে খতনায় শিশুর মৃত্যু: প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২৪
ইউনাইটেড হাসপাতালে খতনায় শিশুর মৃত্যু: প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ

ঢাকা: রাজধানীর বাড্ডার সাতারকুলে ইউনাইটেড হাসপাতালে খতনা করার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হওয়া শিশু আয়ানের ঘটনা তদন্ত প্রতিবেদন ১২ জানুয়ারির মধ্যে দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী শাহজাহান আকন্দ মাসুম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান।

এর আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট নতুন করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করে দিয়েছিলেন।

আইনজীবী শাহজাহান আকন্দ মাসুম জানান, তারা এ প্রতিবেদন এখনো দেননি। আদালতের নজরে আনার পর ১২ জানুয়ারির মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি জানান, গত ১৫ জানুয়ারি সারা দেশে লাইসেন্স ও অনুমোদনহীন কতগুলো হাসপাতাল আছে, তার তালিকা এক মাসের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে (স্বাস্থ্যসেবা) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া ১৫ বছরে চিকিৎসায় অবহেলার কারণে কতজনের মৃত্যু হয়েছে, সেই বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে তিন মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতেও বলা হয়েছে। এ দুই প্রতিবেদনের মধ্যে প্রথমটি আদালতে দাখিল করা হয়েছে। কিন্তু দ্বিতীয়টি দেয়নি। এটাও ১২ জানুয়ারির মধ্যে দাখিল করতে বলেছেন।

গত ৩১ ডিসেম্বর সুন্নতে খতনা করানোর জন্য আয়ানকে সাঁতারকুল বাড্ডার ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান অভিভাবকরা। খতনা শেষ হওয়ার পর আয়ানের জ্ঞান না ফেরায় তাকে সেখান থেকে পাঠানো হয় গুলশান-২ এর ইউনাইটেড হাসপাতালে। সেখানে পিআইসিইউতে (শিশু নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। এর সাতদিন পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

৯ জানুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এ বি এম শাহজাহান আকন্দ মাসুম।

গত ১৫ জানুয়ারি এ বিষয়ে অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে রুলে আয়ানের পরিবারকে কেন পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়।

এ আদেশ অনুসারে অধিদপ্তরে উপ-পরিচালক ডা. পরিমল কুমার পালের সই করা ১৫ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন ২৯ জানুয়ারি আদালতে দাখিল করা হয়েছিল।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিবেদনকে এক ধরনের আইওয়াশ বলে মন্তব্য করেছিলেন হাইকোর্ট। আর প্রতিবেদনের সুপারিশকে হাস্যকর উল্লেখ করেছেন উচ্চ আদালত।

তাই নতুন করে আবার কমিটি করে দেন হাইকোর্ট।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২৪
ইএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।