ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মজুরির দাবিতে প্রকৌশলীর অফিসের সামনে অবস্থান

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০২৩
মজুরির দাবিতে প্রকৌশলীর অফিসের সামনে অবস্থান

লালমনিরহাট: দীর্ঘ এক বছরের বকেয়া মজুরির দাবিতে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা প্রকৌশলী নজীর হোসেনের অফিসের সামনে প্রায় দুই ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শ্রমিকরা।

রোববার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদ চত্বরের স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল বিভাগের উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ের সামনে শ্রমিকরা অবস্থান নেওয়ায় দুই ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকতে হয় প্রকৌশলীকে।

 

স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) এবং শ্রমিকরা জানান, ২০২০ সালে করোনাকালীন লকডাউনে শ্রমিকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ‘প্রভাতি’ নামক একটি বিশেষ প্রকল্প বাস্তবায়ন করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ। ওই প্রকল্পের আওতায় উপজেলার সিঙ্গিমারী, গড্ডিমারী ও বড়খাতা ইউনিয়নে ১৫০ জন নারী-পুরুষ শ্রমিক কাজের সুযোগ পান। তারা নিয়মিত কাজ করেন এবং ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ওই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়। কিন্তু দীর্ঘ এক বছরেও মজুরি পাননি শ্রমিকরা। সেই বকেয়া মজুরি পরিশোধ করতে আজ কাল বলে টালবাহানা করে আসছেন স্থানীয় প্রকৌশল অফিসের কর্মকর্তারা। কিন্তু দীর্ঘদিনেও পারিশ্রমিক না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন শ্রমিকরা। এর জেরে রোববার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে সিঙ্গিমারী ইউনিয়নের শ্রমিকরা তাদের প্রাপ্য মজুরির দাবিতে হাতীবান্ধা উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী নজীর হোসেনের অফিসের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। কার্যত এসময় পুরো অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন উপজেলা প্রকৌশলী।

উপজেলা প্রকৌশলী নজীর হোসেন বলেন, ছয় মাস আগে শ্রমিকদের বকেয়া বিল তৈরি করে নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে পাঠানো হলেও তা এখনো অনুমোদন হয়নি। এখানে আমার করার কিছুই নেই।  

শ্রমিকদের পাওনার সত্যতা রয়েছে বলেও স্বীকার করেন তিনি।

লালমনিরহাট এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মঞ্জুর কাদের ইসলাম বলেন, আগামী মঙ্গলবার কাজ পরিদর্শন করে হিসাব নিকাশ শেষে শ্রমিকদের পাওনাদি পরিশোধ করা হবে। ছয় মাসেও বিশেষ প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন কেন করলেন না এবং বিল দিতে এত দেরি কেন জানতে চাইলে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০২৩
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।