ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

খানসামায় যাচাই-বাছাই ছাড়াই ভিডব্লিউবি তালিকা, কর্মকর্তা অবরুদ্ধ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২৩
খানসামায় যাচাই-বাছাই ছাড়াই ভিডব্লিউবি তালিকা, কর্মকর্তা অবরুদ্ধ

দিনাজপুর: দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও সদস্যদের মতামত না নিয়ে যাচাই-বাছাই ছাড়াই ভিজিডি কর্মসূসির তালিকা তৈরির অভিযোগে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে চার ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) দুপুর ২টা থেকে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) নিরঞ্জন কুমারকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।

 

তার বিরুদ্ধে ২ হাজার ৬৫৯ জনের তালিকা করার অভিযোগ করেন উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা।

পরে সন্ধ্যা ৬টায় তারা অবরোধ প্রত্যাহার করেন। এসময় বিষয়টি সমাধান না হওয়া পর্যন্ত উপজেলা পরিষদের মাসিক মিটিংয়ে বসবেন না বলে জানিয়েছেন চেয়ারম্যান ও সদস্যরা।

২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত খানসামা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন পরিষদের ৫৪টি ওয়ার্ডে দুস্থ ভিজিডি কার্যক্রমের আওতায় দুই হাজার ৬৫৯ জন দুস্থ নারী সুবিধা পাবে খানসামা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে।

এসব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা জানান, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর পরিচালিত দুস্থ মহিলা উন্নয়ন (ভিজিডি) কর্মসূচির নতুন নামকরণ হয়েছে ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট (ভিডব্লিউবি)। নিয়ম হলো- ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট (ভিডব্লিউবি) কমিটির মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে উপজেলা কমিটিতে পাঠালে সেটি পরে উপজেলা কমিটি যাচাই-বাছাই করে অনুমোদন দেবে। কিন্তু কর্মকর্তা অটোমেশনের কথা বলে একটি তালিকা অনুমোদন দেন। এরই প্রতিবাদে ভিডব্লিউবি কার্যক্রমের আওতায় ভিজিডি কর্মসূচির তালিকা পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান ছয়টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা। একপর্যায়ে তারা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।

উপজেলা ইউপি চেয়ারম্যান ফোরামের সভাপতি ও আংগারপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা শাহ জানান, যাচাই-বাছাই করে দুস্থ ব্যক্তিদের তালিকা করার জন্য উপজেলা থেকে নির্দেশনা দেওয়া হলেও সেটি বাদ দিয়ে পছন্দমতো তালিকা করা হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাচারিতা ও নিয়মবহির্ভূত কার্যক্রম। তাই এ তালিকা পরিবর্তন করার দাবি জানাচ্ছি আমরা।

খানসামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাশিদা আক্তার জানান, এখন সব তালিকা হয় অনলাইনে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে। প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে দুই হাজারেরও বেশি মানুষ আবেদন করেন। পরে সেই তালিকাগুলো যাচাই-বাছাই করে একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা করতে হয়। যাতে প্রকৃত দুস্থরাই এ সুবিধা ভোগ করতে পারেন। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সংশোধন করে আমাদের তালিকা না দেওয়ায় অটোমেশন পদ্ধতিতে তালিকা প্রস্তুত হয়ে গেছে। এখন চেয়ারম্যান ও সদস্যরা চাচ্ছেন, তাদের দেওয়া তালিকা অনুমোদন করাতে। এটি করার সুযোগ আমাদের থাকলেও বেশ কিছু নিয়মের ভেতর দিয়ে যেতে হবে। চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সঙ্গে কথা হয়েছে, তাদের তালিকা অনুমোদনের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২৩
এসআই


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।