ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সাংবাদিকতার ধারা বদলে দিয়েছে বাংলাদেশ প্রতিদিন: আহমেদ আকবর সোবহান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২৩
সাংবাদিকতার ধারা বদলে দিয়েছে বাংলাদেশ প্রতিদিন: আহমেদ আকবর সোবহান ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: দেশের সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’ দেশের সাংবাদিকতার ধারাকে বদলে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান।

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) সংবাদমাধ্যমটির প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন দেশের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান।

সেখানেই এ মন্তব্য করেন তিনি।

আহমেদ আকবর সোবহান বলেন, একটা সময় ছিল শুধু নেতিবাচক না লিখলে কোনো পত্রিকা চলবে না। সেই রাহু থেকে আমরা হয়তো মুক্ত হয়েছি। আমরা ভালোকে ভালো বলি, খারাপকে খারাপ। শুভকে শুভ, অশুভকে অশুভ। বিগত ১৪ বছরে দেশ যে পর্যায়ে চলে গেছে, আমরা সবাই এখন গর্ব করতে পারি- আমি বাংলাদেশের নাগরিক। বাংলাদেশ নিয়ে সারা বিশ্ব এখন প্রশংসা করে এবং সবাই আশাবাদী।

বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান বলেন, চীন, রাশিয়া, আমেরিকা, ভারত যে দেশের কথাই বলেন না কেন, সবাই বাংলাদেশ নিয়ে আশাবাদী। শুধু আমরা হাতে গোনা কিছু মানুষ আশাবাদী নই। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেছেন এদেশে দুই-তিন মাসের মধ্যে ডলারের সংকট থাকবে না, অর্থনৈতিক সমস্যাও থাকবে না। অথচ, গত কিছুদিন ধরে আমরা দেখলাম বিদেশে গুজব বের হলো বাংলাদেশে টাকা পাঠালে টাকা পাওয়া যাবে না, ডলার পাঠালে ডলার পাওয়া যাবে না। মানুষ ষড়যন্ত্র করবে, গুজব রটাবে; সেটার জন্য তো প্রতিবাদও থাকতে হবে। প্রতিবাদের জায়গাটি হলো সবগুলো অ্যাম্বাসি। এই অ্যাম্বাসিকে শুধু প্রটোকল রক্ষা না করে দেশের পক্ষে কাজ করতে হবে। আমাদের সব জায়গায় অ্যাম্বাসি আছে। এগুলো সক্রিয় হলে এসব গুজবের আমরা নীরব জবাব দিতে পারি।

আমাদের ভাবনা শুধু দেশ। দেশ বাঁচলেই আমি, আপনি, সাংবাদিক, লাখো-কোটি জনতা বেঁচে থাকবে। দেশ বেঁচে না থাকলে আমরা কেউই থাকবো না। রাজনীতি রাজনীতির জায়গায় হোক, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড যেন কোনো অবস্থাতেই বন্ধ না হয়। বর্তমান বিশ্বে এখন শুধু অর্থনৈতিক যুদ্ধ। এখানে কোনো দেশ কোনো দেশকে দখল করে না। রাজনৈতিকভাবে আমাদের যাই থাকুক, আমাদের যুদ্ধ অর্থনৈতিক যুদ্ধ। আমরা সাংবাদিকরা ১৪ বছর আগে যে অবস্থায় ছিলাম, আজকে নিশ্চয় তার চেয়ে ভালো অবস্থায় আছি। ব্যবসায়ীরা ভালো অবস্থানে, কৃষকরা ভালো অবস্থানে। আজকে যেসব ভাতা দেওয়া হয়, এটা তো আমরা ১৪ বছর আগে কল্পনাও করিনি। বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশও এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশ নিজের চেষ্টায় পদ্মা সেতু করেছে। মেট্রোরেল করছে। এগুলো আমাদের ব্র্যান্ডিং করতে হবে।

বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান বলেন, ভারতের মতো দেশে ইউটিউব কন্ট্রোল করা হচ্ছে। সেখানে তাদের অফিস আছে। আমাদের কেন নেই? আমাদের কি এমন দুর্বলতা? আমাদের তো কোনো দুর্বলতা নেই। তাহলে আমরা সাইবার ক্রাইমগুলো রুখতে পারি। দেশ যেভাবে এগোনো দরকার, যেভাবে উন্নয়ন দরকার, সেভাবে এগোচ্ছে। আমরা আপনারা সবাই এগোচ্ছি। সম্প্রতি কিছু ব্যাংকের বিরুদ্ধে যেভাবে ষড়যন্ত্র হয়েছিল, এই দেশটাকে ধ্বংস করার জন্য তো নীল-নকশা আঁকা হয়; সে অনুযায়ী কিছু পত্রিকা তাদের ম্যান্ডেটগুলো কাজে লাগায়। আমাদের সোচ্চার থাকতে হবে। আমাদের যুদ্ধ শুধু দেশের মানুষের জন্য। সরকার যেই আসুক, আজকে আসবে একজন, কাল একজন, পরশু আরেকজন। কিন্তু দেশ আর এই ২০ কোটি মানুষের সার্থকে আমরা জলাঞ্জলি দিতে পারবো না।

প্রতিনিধি সম্মেলনে আয়োজনে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম বলেন, আমরা জনগণের কাগজ। আমাদের দায়বদ্ধতা রাষ্ট্রের প্রতি, সমাজের প্রতি, দেশের প্রতি। তাই জনগণের কাগজের জায়গা থেকে আমরা আমাদের কাজটুকু করার চেষ্টা করছি। আমরা আমাদের কাজের ক্ষেত্রে নতুন অবস্থান তৈরির চেষ্টা করছি। বাংলাদেশ প্রতিদিন এখন সারা দুনিয়ায়। আমরা লন্ডন থেকে সপ্তাহে একদিন প্রকাশ করি। আমরা নিউইয়র্ক থেকে সপ্তাহে একদিন প্রকাশ করি। আমরা গর্বের সঙ্গে বলতে পারি- বাংলাদেশ প্রতিদিন একটি আন্তর্জাতিক সংবাদপত্র।

সংবাদ কর্মীদের সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি সানের সম্পাদক এনামুল হক চৌধুরী। তিনি বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপ যেমন বড়, বসুন্ধরার এই কাগজটিও (পত্রিকা) সবথেকে বড়। এটার সম্মান রক্ষা করে আপনারা সমাজে চলবেন। আপনাদের আচার-আচরণ, কাজ-কর্ম, সবগুলোই যেন সম্মানের জন্য সহায়ক থাকে সে বিষয়টি আপনারা মাথায় রাখবেন বলে আশা করি। এটা ধরে রাখলে পত্রিকার সম্মান থরে থরে এমনিতেই বৃদ্ধি পাবে। এখন বড় আছে, আরও বড় হবে।

কালের কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন বলেন, বাংলাদেশ প্রতিদিন দেশের সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক। এই পত্রিকাটি উত্তরোত্তর আরও অনেক দূর যাবে। বসুন্ধরা গ্রুপ যেখানে হাত দেয়, সেটা আকাশ স্পর্শ করে। আমরা সেই আশাতেই পথ চলি। আমাদের প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেকটি কাগজ, প্রত্যেকটি টেলিভিশন আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তার দিকে যাচ্ছে। আমারা আশা করবো আমরা সবাই যেন এই জায়গাটি ধরে রাখতে পারি।

প্রতিনিধি সম্মেলনের এ আয়োজনে বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার ৬৪টি জেলার প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক আবু তাহের, কালের কণ্ঠের সম্পাদক শাহেদ মুহাম্মদ আলীসহ ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের বিভিন্ন কর্মকর্তা এবং সংবাদ কর্মীরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২৩
এইচএমএস/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।