ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

এইচএসসিতে প্রক্সি দিতে সহায়তা, প্রভাষকের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২৩
এইচএসসিতে প্রক্সি দিতে সহায়তা, প্রভাষকের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা!

বরগুনা: বরগুনার আমতলী বকুলনেছা মহিলা ডিগ্রি কলেজের পদার্থ বিজ্ঞানের প্রভাষক সৈয়দ মোহাম্মদ ওয়ালিউল্লাহর নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। পাবলিক পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে সহায়তার দায়ে এ আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) মামলার ধার্য দিনে আদালতে পিবিআই পুলিশের দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদন সন্তোষজনক না হওয়ায় এ রায় দেওয়া হয়। আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মো. আরিফুর রহমান মামলাটি আমলে নিয়ে সৈয়দ মোহাম্মদ ওয়ালি উল্লাহকে ওই মামলায় অভিযুক্ত  করে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

আসামি পক্ষের আইনজীবি অ্যাডভোকেট এম ইসহাক বাচ্চু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের মে মাসের ৩ তারিখ আমতলী বকুলনেছা মহিলা কলেজের কেন্দ্রে উচ্চতর গনিত ২য় পত্রের এইচএসসি পরীক্ষা হচ্ছিল। সেখানে কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্তরা পরীক্ষার্থী মো. আরিফুর রহমানের প্রবেশপত্র ও রেজিষ্টেশন কার্ড যাচাইকালে দেখতে পান যে তাতে মো. মেহেদী হাসানের ছবি। তখন আরিফুর রহমান জানান যে, সে ২৫ হাজার টাকা চুক্তিতে আসল পরীক্ষার্থী মেহেদি হাসানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হেয়ছে তাকে জিপিএ ৪ পাইয়ে দেবে। সে মেহেদি হাসানের কাছ থেকে নগদ ২০ হাজার টাকা নিয়ে বডি চেইঞ্জ করে তার পরীক্ষা দিতে এসেছে। ওই সময় কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্তরা আরিফুর রহমানকে পুলিশে সোপর্দ করেন।

ওই ঘটনায় বকুলনেছা মহিলা ডিগ্রী কলেজের তৎকালীন (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ মো. মজিবুর রহমান পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধ) ১৯৮০ এর ৩ (ক) ও (খ) ১৩ ধারায় বডি চেইঞ্জ করে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার দায়ে আরিফুর রহমানকে অভিযুক্ত করে আমতলী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

ওই মামলায় আরিফুর রহমানকে (১৯) গ্রেফতার দেখিয়ে আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দির জন্য পাঠানো হয়। তখন তিনি জবানবন্দিতে বকুলনেছা মহিলা ডিগ্রী কলেজের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক সৈয়দ মোহাম্মদ ওয়ালি উল্লাহর সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি প্রকাশ করেন।

ওই সময় আদালতের বিজ্ঞ বিচারক বিষয়টি পিবিআই পুলিশকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

পরে তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পুলিশের পরিদর্শক (পটুয়াখালী) মো. আব্দুস সোবাহান সৈয়দ মোহাম্মদ ওয়ালি উল্লাহর নাম তদন্ত প্রতিবেদন থেকে বাদ দিয়ে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। কিন্তু পিবিআই পুলিশের দেওয়া সেই প্রতিবেদন সন্তোষজনক না হওয়ায় এ রায় দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২৩
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।