ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আ.লীগ-বিএনপি কর্তব্য পালনে ব্যর্থ: আবুল কাশেম ফজলুল হক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২৩
আ.লীগ-বিএনপি কর্তব্য পালনে ব্যর্থ: আবুল কাশেম ফজলুল হক

ঢাকা: বাংলাদেশের প্রচুর রাজনৈতিক দুর্বলতা রয়েছে মন্তব্য করে শিক্ষাবিদ ও সমাজ বিশ্লেষক অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক বলেছেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি বিরাজনীতিকরণের প্রভাবে জনগণের প্রতি প্রতিশ্রুত কর্তব্য পালনে ব্যর্থ হয়েছে। উভয়ই শুধু ক্ষমতার রাজনীতিতে যুক্ত থেকেছে।

শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) বিশিষ্ট সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক নির্মল সেনের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হলে আলোচনা সভাটির আয়োজন করে শ্রমিক কৃষক সমাজবাদী দল ও বাংলাদেশ সংযুক্ত শ্রমিক ফেডারেশন।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক বলেন, আশির দশকে রাজনৈতিকদলগুলো জাতিকে কল্যাণের পথ দেখাতে পারেনি। তারা বিশেষত আওয়ামী লীগ ও বিএনপি জাতি পুর্নগঠনের কোনো রূপরেখা দিতে পারেনি। তারা শুধু এরশাদকে ক্ষমতাচ্যুত করে ক্ষান্ত হয়েছে।

বাকশালকে বাংলাদেশের ইতিহাসের বড় ঘটনা আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সমাজতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেও বাকশাল ছিল কিছুটা জবরদস্তিমূলক। আওয়ামী লীগের লোকেরা নিজেদের ভেতর ঐক্যবদ্ধ ছিল না। তারা শেখ মুজিবের দেখানো পথে চলত না।

রাজনীতি ও সাংবাদিকতকয় নির্মল সেনের অবদানের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, নির্মল সেন দৈনিক বাংলা পত্রিকায় সম্পাদকীয় লিখতেন, যা সর্বজন সমাদৃত ছিল। তৎকালীন বাস্তবতার মধ্যে তিনি সরকারি পত্রিকায় চাকরি করেও জনগণের পক্ষে থেকেছেন। ‘স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই' শিরোনামে তার লেখা সম্পাদকীয় চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে। বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তার সঠিক রাজনৈতিক অবস্থানের ইতিহাস সবার জানা।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ বিভিন্ন আইনের মাধ্যমে গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে হরণ করা হয়েছে মন্তব্য করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান খান বলেন, এমন বৈরী পরিবেশে মুক্ত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠায় নির্মল সেনকে অনুসরণ করতে হবে। রাজনীতির মাঠে এবং নিজের লেখনীতে তিনি সর্বদা সত্যের পথ দেখিয়েছেন। প্রেসক্লাবে যথাযথ মর্যাদায় নির্মল সেনকে স্মরণ করতে হবে।

সংযুক্ত শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মোসাদেক হোসেন স্বপনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ডের সাবেক মহাসচিব নঈম জাহাঙ্গীর, ঐক্য ন্যাপের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এস এম এ সবুর, জাতীয় শ্রমিক জোটের সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

বাম রাজনীতির অন্যতম পুরোধা নির্মল সেন ১৯৭১-র মুক্তিযুদ্ধে সংগঠকের ভূমিকা পালন করেন। স্বাধীনতার পর সর্বদলীয় যুক্তফ্রন্ট এবং এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময় ১৫ দলীয় জোট গঠনে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি নির্মল সেন ছিলেন একজন প্রসিদ্ধ লেখক। কর্মজীবনে দৈনিক বাংলার সাংবাদিকতা করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২৩
এসসি/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।