ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা ঘোষণার দাবি গার্মেন্টস শ্রমিকদের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২৩
ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা ঘোষণার দাবি গার্মেন্টস শ্রমিকদের ছবি: শাকিল আহম্মেদ

ঢাকা: ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা ঘোষণা করে নতুন মজুরি বোর্ড গঠন ও পূর্ণাঙ্গ রেশনিং ব্যবস্থাসহ সাত দফা দাবি জানিয়েছেন গার্মেন্টস শ্রমিকরা।

রোববার (২৯ জানুয়ারি) শ্রম মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দেওয়ার আগে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তারা এসব দাবি জানান।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশের আয়োজন করে ১০টি গার্মেন্টস শ্রমিক সংগঠনের জোট গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার আন্দোলন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ২০১৮ সালে তৈরি পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি আট হাজার টাকা নির্ধারণ করে মজুরি বোর্ড গঠন করা হয়েছিল। এরপর পাঁচ বছর অতিবাহিত হলেও শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়ে নতুন মজুরি বোর্ড গঠনে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। অথচ এই সময়ে তেল, গ্যাস, পানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে।

তারা বলেন, উন্নয়ন প্রকল্পগুলো থেকে মন্ত্রী-এমপিরা দুর্নীতির মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে। বিদেশে গাড়ি-বাড়ি করছে। অথচ দেশের ৮০ ভাগ বৈদেশিক মুদ্রা আয়ে অবদান রাখা ৪০ লাখ গার্মেন্টস শ্রমিক  নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়া এবং মূল্যস্ফীতির কারণে অনাহারে, অর্ধাহারে জীবনযাপন করছে। শ্রমিকদের মজুরি বাড়লে শুধু শ্রমিকদেরই লাভ হবে না, কারখানা মালিকের আয় থেকে শুরু করে বৈদেশিক আয়ও বাড়বে। এতে দেশেরই লাভ হবে।

এ সময় তারা দাবি পূরণ না হলে আগামীতে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

তাদের দাবিগুলো হলো- অবিলম্বে মজুরি বোর্ড গঠন করে গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য ২৫ হাজার টাকা নূন্যতম মজুরি ঘোষণা করতে হবে। নতুন মজুরি ঘোষণার আগে ৬০ শতাংশ মহার্ঘভাতা চালু করতে হবে। চাল, ডাল, তেল ও শিশু খাদ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য রেশন কার্ডের মাধ্যমে বিতরণের লক্ষ্যে স্থায়ীভাবে রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে।  

সব শ্রমিক এলাকায় শ্রমিকদের জন্য চিকিৎসা, শিক্ষা নিশ্চিতে সরকার ও মালিকদের উদ্যোগ নিতে হবে। বাধ্যতামূলক অংশীদারত্বমূলক প্রভিডেন্ট ফান্ড চালু করতে হবে। প্রতি বছর মূল মজুরির ১০ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট দিতে হবে।  

শ্রমিক ও শিল্প স্বার্থে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকারকে উদ্যোগ নিতে মালিকদেরও আহ্বান জানাতে হবে। সোয়েটার ও পিছ রেটে কর্মরত শ্রমিকদের কাজের আগে মজুরি নির্ধারণ ও ঢাল সিজনে পূর্ণ বেসিক দিতে হবে। দাম বাড়ার এই দুঃসময়ে শ্রমিক ছাঁটাই করা যাবে না। ইতোপূর্বে ছাঁটাইকৃত বেকার শ্রমিকদের জীবিকা ভাতা দিতে হবে।

গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সহ-সভা প্রধান অঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মাহবুবুর রহমান ইসমাইল, জাতীয় সোয়েটার গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি এ এম ফয়েজ হোসেন, গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেন প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে তারা স্মারকলিপি দিতে শ্রম মন্ত্রণালয়ের উদ্দেশে মিছিল নিয়ে যান।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২৩
এসসি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।