ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পরকীয়ায় ধরা পড়ে বিয়ের দাবিতে অনশন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৩
পরকীয়ায় ধরা পড়ে বিয়ের দাবিতে অনশন

ফরিদপুর: ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় পরকীয়ায় ধরা পড়ে বিয়ের দাবিতে এক বিধবার (৩২) অনশন চলছে। প্রতিবেশী তিন সন্তানের বাবা জাহিদ মাতুব্বরের (৪০) সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হতে চান ওই বিধবা।

অভিযুক্ত জাহিদ ওই এলাকার মৃত ইসরাইল মাতুব্বরের ছেলে।

বৃহস্পতিবার (৯ ফ্রেরুয়ারি) রাতে সালথা উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের জুগীকান্দা গ্রামের জাহিদের বাড়িতে অনশনে বসেন ওই বিধবা।

শুক্রবার এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিষয়টির কোনো সমাধান হয়নি।  

ওই বিধবা বলছেন, এখন আমি সমাজে মুখ দেখাতে পারব না। একমাত্র জাহিদের সঙ্গে আমার বিয়ে হলেই এর সমাধান হবে। অন্যথায় আমি কোথাও যাব না। এখন যদি জাহিদ আমাকে বিয়ে না করে, মরণ ছাড়া আমার কোনো পথ খোলা নেই।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৬ বছর আগে স্বামী মারা যাওয়া পর দুই ছেলে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতেই থাকছেন ওই বিধবা। এ সুযোগ নেয় প্রতিবেশী জাহিদ। বিধবার সঙ্গে অনৈতিক সর্ম্পক গড়েন জাহিদ।  

বৃহস্পতিবার (৯ ফ্রেরুয়ারি) রাতে ওই বিধবার সঙ্গে জাহিদকে একসঙ্গে হাতেনাতেই ধরে ফেলে প্রতিবেশীরা। এ সময় ধস্তাধস্তিতে জাহিদ পালিয়ে যায়। রাত ২ টার দিকে ওই নারী গিয়ে ওঠেন জাহিদের বাড়িতে। তিনি জাহিদের থাকার ঘরে বিছানায় অবস্থান নেন।  

এদিকে জাহিদের কুকর্মে হতভম্ব তার স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যরা। ঘটনার জানাজানির পর বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন স্থানীয়রা। এতে দুটি পরিবারই বেকায়দায় রয়েছে।

এদিকে পালিয়ে বেড়ানো অভিযুক্ত জাহিদ ওই বিধবার সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করছেন।  

মোবাইল ফোনে তিনি বলেন, ঘটনাটি এরকম হওয়ার কথা না। আমার সঙ্গে ওই নারীর কোন সম্পর্ক নাই।  গ্রামের প্রতিপক্ষরা ওই নারীকে দিয়ে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।  

এ বিষয়ে সালথা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সৈয়দ আওলাদ হোসেন বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৩
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।