ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সাতক্ষীরায় চাঁদাবাজি করতে গিয়ে ধরা পিরোজপুরের এএসআইসহ ৫ জন 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৬ ঘণ্টা, মার্চ ৫, ২০২৩
সাতক্ষীরায় চাঁদাবাজি করতে গিয়ে  ধরা পিরোজপুরের এএসআইসহ ৫ জন 

পিরোজপুর: চার সঙ্গী নিয়ে সাতক্ষীরায় গিয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়েছিলেন পিরোজপুর সদর থানার এএসআই রুবেল হোসেন। নিজেকে ঢাকার সাইবার ক্রাইমের একজন র‌্যাব অফিসার পরিচয় দিচ্ছিলেন তিনি।

 

তবে গ্রামবাসীর পিটুনিতে ধরা পড়ে অবশেষে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন রুবেল ও তার ৪ সঙ্গী।

শুক্রবার (৩ মার্চ) সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার কল্যাণপুর গ্রামে ঘটে এ ঘটনা।  

গ্রেফতাররা হলেন- পিরোজপুর সদর থানার এএসআই রুবেল হোসেন (৩০), পিরোজপুর সদর থানার পান্তাডুবি গ্রামের রহম আলীর ছেলে মনির হোসেন (৩৫), একই গ্রামের আনোয়ার শিকদারের ছেলে সোহেল শিকদার (৩৩), একই থানার চরলোহারকাটি গ্রামের ইউনুচ মৃধার ছেলে আবুল কালাম মৃধা (৩৫) ও গাড়িচালক পূর্ব শিকারপুর গ্রামের আবদুল মালেক মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩২)।

এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি রিভালবার, ৮ রাউন্ড গুলিসহ একটি ম্যাগাজিন, দুটি হ্যান্ডকাফ এবং একটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়।

রোববার (০৫ মার্চ) আশাশুনি থানার ওসি মমিনুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।  

তিনি বলেন, চাঁদাবাজির অভিযোগ গ্রামবাসী এএসআই রুবেল হোসেনসহ পাঁচজনকে আটক করে পুলিশে সোপার্দ করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে আটক পাঁচজনসহ একজনকে পলাতক দেখিয়ে শনিবার একটি মামলা দায়ের করেছেন।

নিজ থানার এএসআইয়ের গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পিরোজপুর সদর থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) আ.জ.ম মাসুদুজ্জামান।

রোববার সন্ধ্যায় তিনি বাংলানিউজকে বলেন, গত শুক্রবার রাতে কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে চলে যান ওই এএসআই। শনিবার (০৪ মার্চ) রাতে তাকে চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেফতারের খবর শুনেছি।

আশাশুনি থানা পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, এএসআই রুবেল হোসেন তার চার সঙ্গীসহ একটি প্রাইভেটকারযোগে গত ০৩ মার্চ সন্ধ্যায় আশাশুনির প্রতাপনগর ইউনিয়নের কল্যাণপুর গ্রামের রওশন আলী মোল্লার ছেলে আশিকুর রহমান আশিকের বাড়িতে যায়। এ সময় আশিকের বিরুদ্ধে জুয়ার ব্যবসা করার অভিযোগ আনেন তিনি। নিজেকে ঢাকার সাইবার ক্রাইম ইউনিটের একজন র‌্যাব অফিসার পরিচয় দেন রুবেল। এরপর এক লাখ টাকা দিলে আশিককে ছেড়ে দেবেন বলে জানান তিনি।  

টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে এএসআই রুবেল তার কাছে থাকা হ্যান্ডকাফ বের করে গ্রেফতারের জন্য আশিকের হাতে লাগানোর চেষ্টা করেন।  

এ সময় সন্দেহ হলে গ্রামবাসী এএসআই রুবেল ও তার সঙ্গীদের গণপিটুনি দিয়ে আশাশুনি পুলিশে সোপর্দ করে।

বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০২৩
এসএএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।