ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

স্বাধীনতার লক্ষ্য অর্জনে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে: রাষ্ট্রপতি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২৩
স্বাধীনতার লক্ষ্য অর্জনে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে: রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ

ঢাকা: স্বাধীনতার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে সুশাসন, টেকসই উন্নয়ন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার কথা বলেছেন  রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

আগামীকাল রোববার (২৬ মার্চ) ‘মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস’উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, স্বাধীনতার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে জনমুখী ও টেকসই উন্নয়ন, সুশাসন, সামাজিক ন্যায়বিচার, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে পরমতসহিষ্ণুতা, মানবাধিকার ও আইনের শাসন সুসংহত করতে হবে।

তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ, সুখী, সুন্দর ও উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ উপহার দেওয়া আমাদের পবিত্র কর্তব্য।

আবদুল হামিদ বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী ঘাতকচক্র ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে তার নীতি-আদর্শকে মুছে ফেলার পাশাপাশি দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারাকে চিরতরে থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু বাঙালি বীরের জাতি। কোনো কিছুই বাঙালিকে দাবিয়ে রাখতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু হলেন মৃত্যুঞ্জয়। মৃত্যু তাকে নিঃশেষ করেনি বরং বাঙালির চিত্তাকাশে আরো উজ্জ্বল ও মহিমান্বিত করেছে।

তিনি বলেন, নতুন ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বোঝাতে হবে, আজ তারা যে পথটি দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তা তৈরি করে গেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ভবিষ্যতেও তার দেখানো পথই হবে উন্নয়ন ও অগ্রগতির সোপান।

রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশের অগ্রযাত্রাকে বেগবান করতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর জাতির পিতার আদর্শকে ধারণ করে জাতি এগিয়ে যাক বঙ্গবন্ধুর 'সোনার বাংলা' গড়ার পথে-মহান স্বাধীনতা দিবসে এ আমার প্রত্যাশা।

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ এ সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানে বিশ্বাসী। আমি এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানে দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের জন্য মিয়ানমারসহ জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি বলেন,সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়' - বঙ্গবন্ধুর এ আদর্শ অনুসরণে আমাদের পররাষ্ট্রনীতি পরিচালিত হচ্ছে। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠাসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও আমাদের অর্জন প্রশংসনীয়। বাংলাদেশ একটি ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হওয়া সত্ত্বেও মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত ও নির্যাতিত লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মানবতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধাসহ উন্নত আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

দেশে ও প্রবাসে বসবাসরত সব বাংলাদেশিকে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের শুভেচ্ছা জানান রাষ্ট্রপতি।

স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহিদদের, যাদের সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা। আমি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করি জাতীয় চার নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও সমর্থক, বিদেশি বন্ধু এবং সর্বস্তরের জনগণকে, যারা আমাদের অধিকার আদায় ও মুক্তিসংগ্রামে বিভিন্নভাবে অবদান রাখের তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান আবদুল হামিদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২৩
এমইউএম/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।