ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

৫ টাকায় ঈদের নতুন জামা! উচ্ছ্বসিত ৩ শতাধিক শিশু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০২৩
৫ টাকায় ঈদের নতুন জামা! উচ্ছ্বসিত ৩ শতাধিক শিশু

নারায়ণগঞ্জ: ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানেই আনন্দ। ঈদের আনন্দ শুধু ধনীদের বা সমাজের বিত্তবান ও সামর্থ্যবানদের মাঝেই যেন আটকে না থাকে, সেটি যেন সমাজের সকল শ্রেণির মাঝে ছড়িয়ে পড়ে।

 

সেইজন্য প্রতি বছর নানা উদ্যোগ নেওয়া হয় নারায়ণগঞ্জের আলোচিত কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের পক্ষ থেকে।

প্রতি বছরের মতো এবারও সমাজের নিম্ন আয়ের মানুষের সন্তানদের জন্য মাত্র ৫ টাকায় ঈদের নতুন জামা কেনার ব্যবস্থা করেছেন তিনি। তাদের কাছ থেকে নেওয়া এই ৫ টাকা পরবর্তীতে আবার তাদের মাঝেই বিলিয়ে দেওয়া হয়।

শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ও পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে প্রায় ৩ শতাধিক শিশুর জন্য নতুন জামা দেওয়ার ব্যবস্থা করেন তিনি।  

এদিন (১৪ এপ্রিল) দুপুরে শহরের মাসদাইরে নিজ কার্যালয়ে এ আয়োজন করা হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, সেখানে মাঠে একটি অস্থায়ী দোকান তৈরী করেছেন কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। সেই দোকানে সাজানো হয়েছে ৩ শতাধিক নতুন জামা। এর মধ্যে শিশুরা দলে দলে বা বাবাকে নিয়ে এসে উপস্থিত হয়। সকলেই স্টল ঘুরে নিজের পছন্দের জামা মাত্র ৫ টাকা মূল্যে কিনতে নেয়। মাত্র ৫ টাকায় নতুন জামা পেয়ে আনন্দিত এসব শিশুর অনেকে সেখানেই সেই নতুন জামা পরিধান করে উৎসাহ প্রকাশ করে।

জামা পেয়ে ৭ বছরের শিশু আনিকা জানায়, আমি এটা এখানে আইসাই পছন্দ করছি। খোরশেদ চাচ্চুর দোকান থেকে ৫ টাকায় কিনছি। আগেরবারও ঈদে আমি ৫ টাকা দিয়া কিনছিলাম এখান থেকে। আমার খুব খুশি লাগতাছে।

এমন অভিনব আয়োজনের অন্যতম উদ্যোক্তা কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের স্ত্রী আফরোজা খন্দকার লুনা জানান, আমরা প্রতি বছর এমন আয়োজন করে থাকি। যাতে এই ওয়ার্ডের দারিদ্র বাচ্চারা সবাই নতুন জামা পরে ঈদ করতে পারে। এবারও করেছি। আমরা বিনিময়ে তাদের কাছ থেকে ৫ টাকা করে নিয়ে থাকি, যেন কেউ নিজেদের ছোট মনে না করে। পরবর্তীতে এই ৫ টাকা আবার তাদের মাঝেই বিতরণ করে দেই।

কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ বলেন, শুধু সমাজের সামর্থ্যবানদের সন্তানরা নতুন জামা দিয়ে ঈদ করবে, এমনটা যেন মনে না হয়। ঈদের আনন্দ যে সবার জন্য, সেটি যেন সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়ে, তাই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ছোট ছোট এসব বাচ্চাদের মুখের এই হাসি দেখার জন্যই আমাদের এমন উদ্যোগ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০২৩
এমআরপি/এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।