ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আওয়ামী লীগ করায় আসামি হতে হবে কল্পনা করিনি: এসআই ফারুক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫২ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২৩
আওয়ামী লীগ করায় আসামি হতে হবে কল্পনা করিনি: এসআই ফারুক

লক্ষ্মীপুর: আওয়ামী লীগের রাজনীতি করায় একের পর এক মামলার আসামি হতে হয়েছে - এমন অভিমানে দল থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল ইসলাম ফারুক।

যদিও উপজেলা আওয়ামী লীগের কাছে দেওয়া অব্যাহতিপত্রে তিনি শারীরিক অসুস্থতা ও ব্যক্তিগত ব্যস্ততার কথা উল্লেখ করেছেন।

 

বুধবার (১৭ মে) বিকেলে ফারুক সাংবাদিকের কাছে তিনি অব্যাহতির নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  

এর আগে গত সোমবার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে লিখিতভাবে দলীয় পদ-পদবী থেকে অব্যাহতি নেন শামসুল ইসলাম ফারুক ওরফে এসআই ফারুক।  

অব্যাহতিপত্রের অনুলিপি তিনি কেন্দ্র, জেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকের কাছেও পাঠিয়েছেন তিনি।

এসআই ফারুক বলেন, আওয়ামী লীগ করায় মামলায় আসামি হতে হবে এটি কখনো কল্পনা করিনি।  

তিনি বলেন, ৯১ থেকে ৯৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি সরকারের ক্ষমতাকালীন ৯টি ও ২০০১-০৭ বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় ৭টি মামলার আসামি হয়েছি। আওয়ামী লীগের রাজনীতি সক্রিয় ভূমিকা পালন করায় একাধিকবার জেল খাটতে হয়েছে। দুর্দিনে রাজপথে নেতৃত্ব দিয়েছি। এখন আওয়ামী লীগের সুসময়। এসময় এসে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ৫টি মামলায় আমাকে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আসামি করা হয়েছে।

ফারুক বলেন, এসব মামলার মধ্যে হত্যা, বিস্ফোরক, ভাঙচুর মামলা রয়েছে। আওয়ামী লীগ করায় মামলায় আসামি হতে হবে এটি কখনো কল্পনা করিনি। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটির দায়িত্বে থাকা পদ-পদবীও হারিয়েছি।  

ফারক অব্যাহতিপত্রে উল্লেখ করেছেন, শারীরিক জটিলতা ও ব্যক্তিগত কর্ম ব্যস্ততার কারণে রাজনৈতিক মাঠে অনুপস্থিতিতে দলের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এতে দলের বৃহত্তর স্বার্থে তিনি ইছাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ ও দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নিয়েছেন।

রামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সফিক মাহমুদ পিন্টু বলেন, তার অব্যাহতি নেওয়ার বিষয়টি জেনেছি। তবে আমার হাতে এখনো কাগজ আসেনি। সরকার ক্ষমতায় দলীয় নেতাকর্মীরা হামলা-মামলা, হয়রানির শিকার হবে এটা কাম্য নয়।  

জানা গেছে, এসআই ফারুক ১৯৯১ সালে শ্রীরামপুর উচ্চ বিদ্যালয় স্কুল ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯৩-৯৫ সালে ছাত্রলীগ থেকে রামগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের পক্ষে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে অংশ নেন। তখন তিনি হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন। এরপর দু’মেয়াদে তিনি ইছাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ২০১৩ সালে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৮ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২৩
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।