ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ব্যবসায়ীর গায়ে সিগারেটের ছ্যাঁকা দেওয়ার অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৩ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২৩
ব্যবসায়ীর গায়ে সিগারেটের ছ্যাঁকা দেওয়ার অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে

বাগেরহাট: বাগেরহাটে চোর সন্দেহে ফকির রনি নামে এক পোল্ট্রি ফিড ব্যবসায়ীকে রাতভর আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ষাটগম্বুজ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আজিজুল ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (২৩ মে) দিনগত গভীর রাতে পাটরপাড়া বারুইডাংঙ্গা গ্রামে ক্লাব ঘরে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ফকির রনি বাগেরহাটের পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

ফকির রনি বাগেরহাট সদর উপজেলার সুন্দরঘোনা গ্রামের শামছু ফকিরের ছেলে।

নির্যাতনের স্বীকার ব্যবসায়ী ফকির রনি বলেন, ২৩ মে খুলনার ফুলতলা থেকে পিকআপভ্যানে করে আনা সরকারি ধান বীজ বাগেরহাটের মল্লিকের বেড়-সন্নাসী এলাকায় পৌঁছে দেই। সেখান থেকে বারুইডাঙ্গা এলাকায় শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশে রওনা করি। রাত ২টার দিকে রাস্তার পাশে পিকআপভ্যান রেখে শ্বশুরবাড়িতে ছিলাম। এর মধ্যে রাত ৩টার সময় অপরিচিত একটি নম্বর থেকে ফোন দিয়ে আমাকে জানানো হয় আমার পিকআপভ্যানের (মিনি ট্রাক) দরজা খোলা। এ খবর পেয়ে দ্রুত আমি রাস্তায় যাই। সেখানে গিয়ে দেখি আমার গাড়ির দরজা খোলা, গাড়ির সামনের লাইট ভাঙচুর করা, ড্যাসবক্স ভাঙা এবং ছাত্রলীগ নেতা আজিজুলের হাতে আমার গাড়ির কাগজপত্র।

তিনি আরও বলেন, আমাকে দেখামাত্র আজিজুল বলেন 'তুই আমাদের দেখে দৌঁড় দিলি কেন, গাড়িতে রাখা গরুগুলো কোথায় গেল'। এ কথা বলেই তিনি আমাকে মারধর শুরু করেন। থানায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে টানা হেঁচড়া করে গাড়িতে তোলেন এবং পশ্চিমডাঙ্গা ক্লাবঘরে নিয়ে শারীরিক নির্যাতন করেন। সেখানে তিনি আমাকে হাতুড়ি দিয়ে পেটান এবং শরীরে জ্বলন্ত সিগারেটের ছ্যাঁকা দিয়েছেন। তিনি এতো বেশি মেরেছেন যে, মনে হয়েছে যেন এখনই মারা যাবো।

ভুক্তভোগী রনি বলেন, পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মোজাম ঘটনাস্থলে এলে ছাত্রলীগ নেতা আমাকে ছেড়ে দেন। তারা আমার পকেটে থাকা নগদ টাকাও নিয়েছেন। এসব কথা কাউকে বললে আরও বেশি অত্যাচার করা হবে বলেও হুমকি দিয়েছেন তারা। অন্যায়ভাবে আমাকে যারা নির্যাতন করেছে তাদের বিচার চাই।

ছাত্রলীগ নেতা মো. আজিজুল বলেন, চোর সন্দেহে ফকির রনিকে ধরা হয়। তাকে দুই-একটা চড়-থাপ্পড় মারা হয়েছে। পরবর্তীতে ইউপি সদস্য মো. মোজাম ঘটনাস্থলে গিয়ে ফকির রনি চোর না বিষয়টি নিশ্চিত করলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, এক ব্যবসায়ীকে আটকে রেখে মারধরের একটি ঘটনা শুনেছি। ওই ব্যবসায়ী লিখিত একটি অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগটি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২১ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২৩
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।