ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আষাঢ়ের প্রথম বৃষ্টিতেই প্লাবিত ভোটের নগরী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৭ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২৩
আষাঢ়ের প্রথম বৃষ্টিতেই প্লাবিত ভোটের নগরী ছবি- নাসির উদ্দিন

সিলেট: জ্যৈষ্ঠের খরতাপে পুড়েছে প্রকৃতি। গরমের তীব্রতায় ছিল ওষ্ঠাগত প্রাণ।

বুধবার (১৪ জুন) জ্যৈষ্ঠের শেষ দিনে নামে বজ্রসহ বৃষ্টি। মাত্র ৬ ঘণ্টার বৃষ্টিতেই ভেসে গেল সিলেট নগরের রাস্তাঘাট।  

ড্রেন উপচে পানি উঠে গেছে বাসা-বাড়িতে। ফলে রাস্তা ও ড্রেন সংস্কারে ‘অপরিকল্পিত উন্নয়ন’ নিয়ে নগর কর্তৃপক্ষকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুলোধুনো করেছেন সিলেটবাসী। যদিও বিকেলের দিকে বৃষ্টিপাত কমে আসলে খানিকটা স্বস্তি পান নগরবাসী।

তবে বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) আষাঢ়ের প্রথম দিন ভোররাত থেকে টানা কয়েক ঘণ্টার বজ্রসহ বৃষ্টিপাতে আবারো প্লাবিত হয় ভোটের নগর। টানা বৃষ্টিতে নগরের বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়েছে। ড্রেনের পানি উঠে যায় বাসাবাড়িতে। ফলে অফিস-আদালতগামী লোকজন ও স্কুলগামী শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা পড়েন ভোগান্তিতে। অনেকে ময়লাপানি ডিঙিয়ে গন্তব্যে রওয়ানা হন ছাতা মাথায় দিয়েই।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) ভোররাত থেকে টানা কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে বুধবারের মতো নগরের বিভিন্ন রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়। জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে বাসা বাড়িতে পানি উঠে ভোগান্তিতে পড়েন নগরবাসী।

কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে নগরের আখালিয়া, পাঠানটুলা, মদীনামার্কেট, বাগবাড়ি, কানিশাইল, শেখঘাট, ঘাসিটুলা, বেতবাজার, লালাদিঘীরপাড়, কুয়ারপাড়, তালতলা, হাওয়াপাড়া, সুবিদবাজার ও জালালাবাদ, মিরের ময়দানের বিভিন্ন এলাকা, শিবগঞ্জ, লামাপাড়া, পায়রা ও রাজারগলি, উপশহরের যতরপুর, তের রতনসহ বিভিন্ন এলাকার সড়ক তলিয়ে বাসাবাড়িতে পানি উঠে যায়।

আখালিয়া এলাকার তাইজুল ইসলাম, মুন্সিপাড়ার এরশাদ মিয়া, তের রতন এলাকার আবুল হাসেম, উপশহর এলাকার জাহাঙ্গীর আলমসহ নগরের বাসিন্দাদের অনেকের অভিযোগ, মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর দুই মেয়াদে অন্তত ছড়াখাল ও ড্রেনেজ সংস্কারে হাজার কোটি টাকার কাজ হলেও জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাননি নগরবাসী। যে কারণে অল্প বৃষ্টিতেই নগরের রাস্তাঘাট ও বাসাবাড়িতে পানি উঠে গেছে। তাহলে ভরা বর্ষার মৌসুমের পুরো সময়ে তো নগরবাসীকে ভোগান্তি পোহাতে হবে।  

আবহাওয়া অধিদপ্তর সিলেটের সহকারী প্রকৌশলী শাহ মুহাম্মদ সজীব হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) ভোর ৬টা থেকে ১২টা পর্যন্ত মোট ১০২ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর মধ্যে সকাল ৯টা পর্যন্ত ৬০ সেন্টিমিটার এবং ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ৪২ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।  

এর আগে বুধবার (১৪ জুন) ২৪ ঘণ্টায় ২৭১ দশমিক ৬ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় সিলেটে মুষলধারে ভারী বর্ষণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে, আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে টানা বৃষ্টিপাত হলে ভোটের নগর সিলেটের অধিকাংশ স্থানে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় রাস্তাঘাট তলিয়ে বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে মনে করছেন নগরবাসী।

সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, নগরের ছড়াখাল পরিচ্ছন্ন রয়েছে। কেবল ড্রেনগুলোতে বাসা-বাড়ির ময়লা ফেলায় বৃষ্টির পানি নামতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। তাই নগরের বাসিন্দাদেরও যত্রতত্র ময়লা ও পলিথিন ফেলা থেকে সচেতন হতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৯ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২৩
এনইউ/এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।