ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মেয়েকে পানিতে চুবিয়ে হত্যা, বাবা গ্রেপ্তার  

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১০ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০২৩
মেয়েকে পানিতে চুবিয়ে হত্যা, বাবা গ্রেপ্তার
  গ্রেপ্তার অভিযুক্ত বাবা বাবা টিপু মিয়া

ফেনী: ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলায় পুকুরে চুবিয়ে জান্নাতুল আরিফা আক্তার (৯) নামে এক শিশুকে নিজ হাতে হত্যা করেছে বাবা।

শনিবার (২৪ জুন) রাতে পুলিশ এ ঘটনায় অভিযুক্ত বাবা টিপু মিয়াকে (৩৭) আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যার রহস্য বের হয়ে আসে।

 

গ্রেপ্তার টিপু মিয়া দাগনভূঞা উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের জয় নারায়ণপুর গ্রামের কবির আহমেদের ছেলে। তিনি পেশায় অটোরিকশা চালক।

মামলার এজহার ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের দিকে পারিবারিক কলহের জেরে টিপু মিয়ার সঙ্গে তার স্ত্রী রোমানা আক্তারের বিচ্ছেদ ঘটে। ওই সময়ে জান্নাতুল আরিফা আক্তারের বয়স ছিল ৯ মাস। পরে টিপু মিয়া আবার বিয়ে করলে সেখানে আরও দুই মেয়ের জন্ম হয়। প্রথম সংসারের মেয়ের ভরণপোষণ ও দ্বিতীয় সংসারের পারিবারিক ব্যয় নির্বাহ করতে গিয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন স্বল্প আয়ের টিপু মিয়া।  

গত ১৮ জুন টিপু তার মেয়ে আরিফাকে নিজের বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে আসে। পরে ২১ জুন বিকেলে বাড়ির পাশে পদুয়া পুকুরে গোসল করানোর কথা বলে নিজ মেয়ে আরিফাকে পানিতে চুবিয়ে হত্যা করে টিপু। পরে আরিফাকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে এলাকায় মাইকিং ও নানা প্রচারণা চালায় স্বজনরা। এক পর্যায়ে পুকুরে আরিফার মরদেহ ভেসে ওঠার পর প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যে সন্দেহ হলে পুলিশ ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করে তদন্ত শুরু করে।  

দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান ইমাম জানান, ঘটনার পর থেকে আরিফার বাবা আত্মগোপনে চলে যায়। শনিবার রাতে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে মেয়ের ভরণ পোষণ দেওয়া থেকে বাঁচতে নিজ হাতে পানিতে চুবিয়ে আরিফাকে হত্যা করেছে বলে রোমহর্ষক বর্ণনা দেন। এ ঘটনায় আরিফার মা রোমানা আক্তার বাদী হয়ে মামলা করেন। রোববার (২৫ জুন) বিকেলে মেয়ে হত্যাকারী বাবা টিপু মিয়াকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০২৩
এসএইচডি/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।