ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

হাতিরঝিলে এবার তুলনামূলক দর্শনার্থী কম

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০১ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০২৩
হাতিরঝিলে এবার তুলনামূলক দর্শনার্থী কম

ঢাকা: প্রতি বছর ঈদসহ বিভিন্ন উৎসবের দিনে হাতিরঝিলে ব্যাপক লোকসমাগম ঘটে। এবারও পবিত্র ঈদুল আজহায় উৎসবমুখোর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে রাজধানীর অন্যতম এই বিনোদন কেন্দ্রে।

তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার বৃষ্টিসহ নানা কারণে হাতিরঝিলে দর্শনার্থীর সংখ্যা কম।

বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাতিরঝিলের বিভিন্ন প্রান্ত ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

এদিন দুপুরের দিকে একেবারেই ফাঁকা ছিল হাতিরঝিল। বিকেল ৪টার পর থেকে ধীরে ধীরে আসতে শুরু করেন দর্শনার্থীরা। সন্ধ্যার দিকে ভালোই লোক সমাগম হয়। তবে সেটিও কিন্তু গত রমজানের ঈদের তুলনায় অর্ধেকেরও কম।

হাতিরঝিলে আগত দর্শনার্থী ও স্থানীয়দের মতে, কোরবানির ঈদে পশু কোরবানি করে মানুষজন ক্লান্ত থাকায় তুলনামূলক দর্শনার্থী কম হয়। তাছাড়া সকাল থেকে তুমুল বৃষ্টির কারণেও এবার অনেকে বের হননি। আগামীকাল শুক্রবার (৩০ জুন) দর্শনার্থী বাড়বে বলে ধারণা তাদের।

পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদ্‌যাপন করতে সম্প্রতি ওমান থেকে দেশে এসেছেন নাজমুল ইসলাম। ঈদের দিন বিকেলে ভাই-বোন, স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বনশ্রী থেকে হাতিরঝিলে ঘুরতে আসেন তিনি।

নাজমুল বাংলানিউজকে বলেন, ঈদের সময় যানজট থাকে না। মানুষজনও কম থাকে। তাই একটু শান্তিতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে হাতিরঝিলের মুক্ত বাতাসে ঘুরতে এসেছি। এবার হাতিরঝিলেও মানুষজন কম। শুনেছি অন্যান্যবার আরও অনেক মানুষ হয়। তবে এটা ভালোই হয়েছে। ফাঁকা ফাঁকা ঘুরা যাবে।

বন্ধুদের নিয়ে মগবাজার থেকে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী সাফিন আলম সীমান্ত। তিনি বলেন, আমাদের সবার বাসা মগবাজারে। প্রতি বছরই ঈদের দিন বন্ধুরা মিলে ঘুরতে বের হই। কিন্তু আজ সকাল থেকে বৃষ্টি থাকায় বের হতে পারিনি। এখন বৃষ্টি নেই, আবহাওয়াও ঠাণ্ডা। তাই হাতিরঝিলে ঘুরতে চলে এলাম।

এবার হাতিরঝিলে মানুষজন কম উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেকে ঢাকার বাইরে চলে গেছেন। আবার অনেকে পশু কাটাকাটি করে ক্লান্ত। এছাড়া বৃষ্টির কারণেও অনেকে আজ ঘুরতে বের হননি। তবে আগামীকাল হাতিরঝিলে মানুষজন আরও বেশি হতে পারে।

বোনকে নিয়ে হাতিরঝিলে ঘুরতে এসেছেন মগবাজারের বাসিন্দা শান্তা ইসলাম। তিনি বারডেম হাসপাতালে নার্স হিসেবে কাজ করেন। তিনি বলেন, বৃষ্টির কারণে দূরে কোথাও ঘুরতে যাইনি। হাতিরঝিল বাসার কাছে, তাই এখানেই এলাম।

এদিকে অন্যান্য বছর ঈদের দিন হাতিরঝিলের বোট কাউন্টারগুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভিড় থাকে। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে নৌকায় উঠতে হতো দর্শনার্থীদের। তবে এবার পর্যাপ্ত নৌকা থাকলেও মানুষজন নেই।

হাতিরঝিলের কারওয়ান বাজার অংশের জেটি ঘাটের বোট মাস্টার মো. রিয়াজ বলেন, এবার বৃষ্টির কারণে মানুষের সমাগম নেই। আবার অনেকে কোরবানি দিয়ে ক্লান্ত হওয়ায় বের হননি। গত রমজানের ঈদের তুলনায় এবার ১০ শতাংশও মানুষ নেই। আশা করি আগামীকাল থেকে মানুষজনের সংখ্যা বাড়বে।

হাতিরঝিলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তায় র‌্যাব, পুলিশসহ ফায়ারসার্ভিসের ডুবুরি দল দায়িত্ব পালন করছেন। পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যদের পেট্রোল গাড়ি দিয়ে এবং ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের একটি জেমিনি বোট দিয়ে লেকে টহল দিতে দেখা যায়।

ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি ইউনিটের সাব অফিসার আবুল খায়ের বলেন, ঈদসহ বিভিন্ন উৎসবের সময় হাতিরঝিলে ব্যাপক লোকসমাগম হয়। এ সময় যাতে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটে এ জন্য প্রতিবারই আমরা টহল দিয়ে থাকি। এবারও সেই কার্যক্রম চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৩ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০২৩
এসসি/এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।