ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলবে বাংলাদেশ: শেখ হাসিনা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪০ ঘণ্টা, জুলাই ১, ২০২৩
বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলবে বাংলাদেশ: শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ফাইল ফটো)

গোপালগঞ্জ: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশ সারা বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলবে।

মর্যাদা নিয়ে চলবে বাংলাদেশের মানুষ। সেটাই আমরা চাই।

কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় উপলক্ষে শনিবার (১ জুলাই) এক মতবিনিময় সভায় যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যারা চাইনি আওয়ামী লীগ কোনোদিন ক্ষমতায় আসুক। এদেশের মানুষ আবার পেট ভরে ভাত খাক। মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁই হোক। রোগের চিকিৎসা পাক, শিক্ষা পাক, তাদের প্রতি আমাদের চ্যালেঞ্জ। এদেশ আমার বাবা স্বাধীন করেছেন। আমার বাবা যে লক্ষ্য নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছেন, সেটা আমি করবো। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন করা, অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা এটাইতো আমাদের লক্ষ্য। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল পদ্মা সেতু। মিথ্যা অপবাদ দিতে চেয়েছিল। নিজের ভাগ্য তো গড়তে আসিনি। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য গড়তে এসেছি। তারপরও যে অপবাদ দিয়েছে, তার প্রতিবাদ করে নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু করতে পেরেছি। এটাই হলো সবচেয়ে বড় কথা। সেই শক্তিটা কিন্তু আপনারা যুগিয়েছেন। কোটালীপাড়াবাসী আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আজকে আপনারাই আমার সব দায়িত্ব নিয়েছেন। আমার নির্বাচন, আমার সবকিছুই আপনারা দেখেন। আমার টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়ার মানুষগুলোই তো আমার সবচেয়ে বড় শক্তি।  

সভার শুরুতে দলীয় প্রধানের নির্দেশে কোটালীপাড়ার ১২টি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের নেতা, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন। এ সময় তারা আওয়ামী লীগ সভাপতিকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান।  

পদ্মা সেতু নির্মাণের পর গত এক বছরে তারা যে সুবিধা পেয়েছেন তা প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়ে স্বপ্নের এই সেতু নির্মাণে সাহসী ভূমিকার জন্য অভিনন্দন জানান।  

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আজকে সারা বিশ্বে উজ্জ্বল করতে পেরেছি। যারা বাংলাদেশের কোনো ভালোই চোখে দেখে না। চোখ থাকতে যারা অন্ধ তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলার নাই। তারা দেখে না, কিন্তু ভোগ করে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের ফসল আমাদেরই ফলাতে হবে। আমাদের খাদ্য চাহিদা আমরা পূরণ করবো। আর যা উদ্বৃত্ত থাকে তা বরং অন্যদের দিতে পারবো। সেটাই আমরা করবো। খাদ্য সংরক্ষণের আমরা ব্যবস্থা করছি। আমরা প্রত্যেক এলাকায় এলাকায় খাদ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেবো। যা যা সহযোগিতা করার আমরা করবো।

কোটালীপাড়ার নেতারা বলেন, এলাকার জনগণ আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে নৌকায় ভোট দিতে মুখিয়ে আছে।

নির্বাচন বিরোধী সব অপতৎপরত নস্যাৎ করতেও তারা প্রস্তুত বলেও জানান কোটালীপাড়াবাসী।  

এর আগে শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় পদ্মা সেতু হয়ে কোটালীপাড়ায় পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। এরপর কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করেন। এ সময় ভবন প্রাঙ্গণে তিনটি চারা রোপণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  

নিজ নির্বাচনী এলাকার নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় ও মতবিনিময় করতে শনিবার (১ ও ২ জুন) দুই দিনের সফরে গোপালগঞ্জে এসেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।  

রোববার (২ জুন) টুঙ্গিপাড়ায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন তিনি।  

ঘরের মেয়ের আগমনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মধ্যে বইছে আনন্দের বন্যা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ সফর নেতাকর্মীদের মধ্যে ঈদের আনন্দকে বাড়িয়ে দিয়েছে দ্বিগুণ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৮ ঘণ্টা,  জুলাই ০১, ২০২৩
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।