ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আড়িয়াল খাঁ নদ, পানি বাড়লেই শুরু হয় ভাঙন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২৬ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০২৩
আড়িয়াল খাঁ নদ, পানি বাড়লেই শুরু হয় ভাঙন

মাদারীপুর: মাদারীপুরের আড়িয়াল খাঁ নদ। প্রতি বছরই নদে পানি বৃদ্ধি পেলেই শুরু হয় ভাঙন।

নদী পাড়ের পরিবারগুলো হারায় বসতভিট; হয়ে পড়ে গৃহহীন। ভাঙন থেকে রেহাই পেতে নদে স্থায়ী বাঁধের দাবি নদীপাড়ের মানুষের।  

জানা গেছে, চলতি বছর বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার পর থেকেই মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের পূর্ব মহিষেরচর এলাকার আচমত আলী খান সেতু সংলগ্ন আড়িয়াল খাঁ নদে ভাঙন শুরু হয়েছে। সেতু সংলগ্ন এলাকায় এই ভাঙনের ফলে এখানকার প্রায় ৬ শতাধিক মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক। ভাঙনের ফলে এখানকার দক্ষিণ-পূর্ব মহিষেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বেপারীবাড়ি মসজিদসহ নানা স্থাপনা হুমকির মধ্যে রয়েছে।

গত বছর এখানে ১০০ ফিট বাধ ও কিছু জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙন রক্ষা হলেও বর্তমানে তা পর্যাপ্ত নয়। প্রতিবছরের মতো এবছরও আবার ভাঙন দেখা দেওয়ায় জরুরিভাবে জিও ব্যাগ ফেলা দরকার হয়ে পড়েছে। তাছাড়া প্রতিবছর ভাঙনের ফলে এখানকার বসবাসকারীরা ভয় ও আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। স্থানীয়দের দাবি এখানে স্থায়ীভাবে বাঁধ নির্মাণ হলে ভাঙন রোধ হবে এবং কিছুটা হলেও একটু শান্তি ও নিরাপদে বসবাস করতে পারবেন।  

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, 'বর্ষা শুরু হলেই ভাঙন শুরু হয়। প্রতিবছরই ভাঙে। এই ভাঙন রোধ করা জরুরি। গৃহহীন হয়ে পড়ছে এখানকার মানুষ। '

স্থানীয় আবুল কাশেম নামের এক ব্যক্তি বলেন, আমরা এখানে স্থায়ী একটি বাঁধ চাই। নদীতে যদি আমাদের ঘরবাড়ি ভেঙ্গে যায়, তাহলে আমাদের থাকার জায়গাও থাকবে না। প্রতিবছর এখানে নদীতে ভাঙন হয়। গত বছর এখানে ১০০ ফিটের বাধ করা হয়েছিল। কিন্তু তা পর্যন্ত নয়, এই বাঁধের দুইপাশে স্থায়ী বাধ নির্মাণ করা হোক।

স্থানীয় বাসিন্দারা আরও জানান, এখানে একটি মসজিদ, প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। পাশাপাশি অনেকেই বহু কষ্ট করে ধারদেনা করে থাকার জন্য পাকাস্থাপনাও তৈরি করেছেন। এখানকার মানুষগুলো অনেক গরীব, অনেকেই দিন আনে দিন খায়। তাই এলাকাটি ভেঙ্গে গেলে, এখানকার মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকুও থাকবে না। প্রতিবছরই একটু একটু করে নদী ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে এখন একেবারেই বসতবাড়ির সামনে চলে এসেছে। তাই পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে একটি স্থায়ী বাধ নির্মাণের দাবি জানাই।

মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নাসিরউদ্দিন মোল্যা টুকু বলেন, ভাঙনের মূল কারণ হচ্ছে ড্রেজার মেশিন। অপরিকল্পিতভাবে নদী থেকে বালু তোলার কারণেই এই অবস্থা। আমি সরেজমিনে গিয়ে দেখবো। তারপর কি ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, সেভাবেই কাজ করা হবে।

মাদারীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সানাউল কাদের খান বলেন, ইতোমধ্যেই আমরা ভাঙনের খবর পেয়েছি। আগামী সপ্তাহে সরেজমিনে গিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হবে। তারপর জরুরি কোনো বরাদ্দ আসলেই প্রাথমিকভাবে জিও ব্যাগ ফেলা হবে। যাতে করে ভাঙন রোধ করা যায়।

বাংলাদেশ সময়: ০১২৬ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।