ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বরগুনায় সেপটিক ট্যাংকে নেমে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৩
বরগুনায় সেপটিক ট্যাংকে নেমে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু

বরগুনা: বরগুনার বেতাগীতে একটি নির্মাণাধীন বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের বিষাক্ত গ্যাসে এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন আরও একজন।

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বেতাগী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত হলেন, বেতাগী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা লতিফ হাওলাদারের ছেলে মো. জামাল হাওলাদার (৩৬)। আহত ব্যক্তি হলেন, পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা অমৃত দাসের ছেলে গৌতম চন্দ্র দাস (৩৫)।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেতাগী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে শিক্ষক নজরুল ইসলামের নির্মাণাধীন ভবনে দুইজন শ্রমিক কাজ করছিলেন। কাজ করার এক পর্যায় দুপুর ১২টার দিকে ভবনের সিঁড়ির গোড়ায় সেপটিক ট্যাংকির কাজ করার জন্য প্রথমে জামাল হাওলাদার ট্যাংকের ভেতরে ঢুকতেই বিষাক্ত গ্যাসে হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়ে। অপেক্ষার পর তাকে উদ্ধার করতে নামেন গৌতম চন্দ্র দাস। তিনিও সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়ে। ভবনের মালিক বিষয়টি বুঝতে পেরে জরুরি সেবা ৯৯৯ কল দিয়ে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়।  

ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে জামালকে অজ্ঞান অবস্থায় আর গৌতমকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন এবং গুরুতর অসুস্থ গৌতম চন্দ্র দাসকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।

বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ফাহমিদা লস্কর বলেন, হাসপাতালে আনার পূর্বেই জামাল হৃদ্‌যন্ত্র ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান। অপর এক শ্রমিক গৌতমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।  

বেতাগী থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন জানান, মৃত শ্রমিকের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

বেতাগী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. গোলাম রসুল জানান, ফোন পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পৌঁছে ট্যাংকের ঢাকনা ছোট থাকায় তা কেটে শ্রমিকদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।