ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আ. লীগ নেতা বাদশা হত্যার কারণ ‘নেশা ছাড়তে বলা’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০২৩
আ. লীগ নেতা বাদশা হত্যার কারণ ‘নেশা ছাড়তে বলা’

ঢাকা: গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী এলাকায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য ও আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড সভাপতি বাদশা মিয়াকে হত্যা করা হয়েছে ‘নেশা ছাড়তে বলার’ কারণে। হত্যা মামলার প্রধান আসামি পাপুল মিয়া (৩০)।

তাকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১০) সদস্যরা। এর আগ পর্যন্ত পাপুল পলাতক ছিলেন।

রোববার (৮ অক্টোবর) রাত থেকে সোমবার (৯ অক্টোবর) ভোর পর্যন্ত রাজধানীর লালবাগ থানাধীন শহীদনগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

বিকেলে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে র‌্যাব-৩ কোম্পানি কমান্ডারের (সিপিসি-১) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংশ্লিষ্ট পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন মাহমুদ সোহেল।

আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, পাপুল মিয়া পলাশবাড়ী এলাকায় মাদক সেবন, জুয়া খেলা, চুরি ও ছিনতাইসহ বিভিন্ন প্রকার অপকর্ম করে আসছিল। বাদশা মিয়া এলাকার ইউপি সদস্য হওয়ায় পাপুলকে একাধিকবার ভালো হতে উপদেশ দেন। যে কারণে তার প্রতি ক্ষোভ জন্ম নেয় পাপুলের মনে।

গত ২৬ সেপ্টেম্বর আনুমানিক রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে পলাশবাড়ী থানাধীন পূর্বনয়ানপুর এলাকায় আসামি পাপুল ও তার ২/৩ জন সহযোগী মিলে মাদক সেবন করছিল। এটি দেখে এলাকা ও বাজারের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নৈশ্যপ্রহরীরা পাপুলসহ তার অন্যান্য সহযোগীদের মাদক সেবন করতে নিষেধ করে। এ সময় দুই পক্ষে বাকবিতণ্ডা হয়। তর্ক-বিতর্ক শুনে ইউপি সদস্য বাদশা মিয়াসহ কয়েকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। দুই পক্ষের সবাইকে যার যার বাড়ি চলে যেতে নির্দেশ দেন তিনি।

এ সময় পাপুল উত্তেজিত হয়ে ক্ষোভের বশে বাদশা মিয়াকে গালাগাল করেন। একপর্যায় পাপুলের সঙ্গে থাকা সহযোগীরা বাদশা মিয়াকে জাপটে ধরে। পরে পাপুল তার সঙ্গে থাকা চাকু দিয়ে বাদশা মিয়ার পাজরে দুবার আঘাত করেন। বাদশার ভাতিজা স্বপন মিয়া ও সবুজ মিয়া এ সময় এগিয়ে এলে পাপুল তাদেরও ছুরির আঘাতে আহত করেন।

এ ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন বাদশা মিয়া ও তার দুই ভাতিজাকে গুরুতর আহত অবস্থায় পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসক বাদশা মিয়াকে পরীক্ষার পর মৃত ঘোষণা করেন।

র‌্যাব-৩ কোম্পানি কমান্ডারের (সিপিসি-১) পুলিশ সুপার আরও বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বাদশা মিয়ার মেয়ে মোছা. স্বপ্না খাতুন (২৫) বাদি হয়ে গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী থানায় পাপুল মিয়াসহ ৬ জন ও অজ্ঞাতনামা আরও ৫-৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার কথা শুনে প্রধান আসামিসহ অন্যান্যরা আত্মগোপনে চলে যায়।

র‌্যাব-১০’র আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকাণ্ডে জড়িত প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০২৩
এসজেএ/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।