ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পানির স্রোতে ভেঙে গেছে কাঠের সাঁকো, দুর্ভোগে এলাকাবাসী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২৩
পানির স্রোতে ভেঙে গেছে কাঠের সাঁকো, দুর্ভোগে এলাকাবাসী

গাইবান্ধা: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বুড়াইল নদীর ওপর নির্মিত একটি কাঠের সাঁকো পানির স্রোতে ভেঙে গেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন অন্তত অর্ধলাখ মানুষ।

এ অবস্থায় জীবিকার প্রয়োজনে ঝুঁকি নিয়ে ডিঙি নৌকায় পার হতে বাধ্য হচ্ছেন দুপাড়ের মানুষ। দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পেতে সেতু নির্মাণসহ রাস্তা পাকা করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের খোর্দ্দা গ্রাম ঘুরে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকি নিয়ে বুড়াইল নদী নৌকায় পারাপার হতেন দুই পাড়ের মানুষ। দুর্ভোগ লাঘবে সাত বছর আগে এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে সেখানে বাঁশ-কাঠের একটি সাঁকো নির্মাণ করেন। ফলে  বুড়াইল নদীর পশ্চিমে নিজাম খাঁ, ঘগোয়া, চাচিয়া, রংপুরের তালেরহাট, তাম্বুলপুর, পীরগাছা ও পূর্বে চরখোর্দ্দা, চর লাটশালা, চর তারাপুরসহ কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার অর্ধলক্ষাধিক মানুষ এর সুফল ভোগ করেন।  

পরবর্তীতে যোগাযোগের গুরুত্ব বিবেচনায় কয়েকটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) ও স্থানীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারীর আর্থিক সহযোগিতায় ৩ বছর আগে সেখানে একটি কাঠের সাঁকো নির্মাণ করা হয়। চলাচলের একমাত্র সম্বল সেই সাঁকোটি গত গত ৩০ সেপ্টেম্বর তীব্র পানির স্রোতে ভেঙ্গে নদীতে পড়ে যায়।  

স্থানীয়রা জানান, সাধারণ মানুষ হাট-বাজারসহ নিত্য প্রয়োজনীয় নানা পণ্য আনা-নেওয়া, পাশাপাশি স্থানীয় প্রাথমিক, মাধ্যমিক, কলেজের শিক্ষার্থীরা কাঠের সাঁকোটি ব্যবহার করতো। সাঁকোটি ভেঙে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকার সর্বস্তরের মানুষ। অনেকে জরুরি প্রয়োজনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ডিঙি নৌকায় পারাপার হচ্ছেন। অনেকে ২৫ কিলোমিটার ঘুরে যাতায়াত করছেন।

তারা আরও জানান, এ সাঁকোর পাশেই দেশের সর্ববৃহৎ সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র “তিস্তা সোলার লিমিটেড’ অবস্থিত। প্রতিদিন এখানকার উৎপাদিত ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে। আরও রয়েছে আলীবাবা থিম পার্ক নামে একটি বিনোদন কেন্দ্র। তারাও পড়েছেন বিপাকে। এই অবস্থায় এখানে জরুরি ভিত্তিতে একটি সেতু নির্মাণের দাবি করেন তারা।

এ বিষয়ে তারাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম লেবু বলেন, বুড়াইল নদীতে একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। সেতুটি বাস্তবায়িত হলে চরাঞ্চলের প্রায় ৫০ হাজার মানুষের দুঃখ ঘুচবে।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো. শামসুল আরেফিন খান বলেন, খোর্দ্দা গ্রামে বুড়াইল নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণে অনুমোদনের জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্প অনুমোদিত হলেই সেতু নির্মাণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২৩
এসএম
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।