ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘প্রধানমন্ত্রীর আশীর্বাদ জীবনের সেরা উপহার’

নিশাত বিজয়, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২৩
‘প্রধানমন্ত্রীর আশীর্বাদ জীবনের সেরা উপহার’ টিকিট হাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা, ইনসেটে বুকিং সহকারী সীমা মিস্ত্রী

পদ্মা সেতু (মাওয়া) এলাকা থেকে ফিরে: মুন্সীগঞ্জের মাওয়া রেল স্টেশনে সুধী সমাবেশ শেষে বহুল কাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  

এরপর মুন্সীগঞ্জের মাওয়া রেল স্টেশন থেকে টিকিট কেটে ট্রেনে চড়েন প্রধানমন্ত্রী।

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহানা ও তাদের তিন নাতি-নাতনি। প্রধানমন্ত্রী ১৪৯ টাকা করে পাঁচটি টিকিট কাটেন।  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাওয়া রেল স্টেশনে বুকিং সহকারী সীমা মিস্ত্রী ও নুর জাহানের কাছ থেকে টিকিট সংগ্রহ করেন। সরকার প্রধান ও তার পরিবারের কাছে টিকিট বিক্রি করতে পেরে খুশিতে আত্মহারা এ দুই বুকিং সহকারী।  

মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) দুপুর একটার দিকে টিকিট কেটে প্রধানমন্ত্রী সফরসঙ্গীদের নিয়ে ট্রেনে ওঠেন।  

প্রধানমন্ত্রীর কাছে টিকিট বিক্রির অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে বুকিং সহকারী সীমা মিস্ত্রী বাংলানিউজকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে কাছে থেকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। আমার সঙ্গে হ্যান্ডশেক করেছেন। আমার কাছে থেকে টিকিট নিয়েছেন। অল্প সময়ের এ আন্তরিকতা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। প্রধানমন্ত্রীর আশীর্বাদ জীবনের সেরা উপহার।

সীমা বলেন, সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে কাছে দেখা, তার হাতে টিকিট দেওয়া, কোনোভাবেই ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। আমাদের সঙ্গে তিনি যে আন্তরিকতা দেখিয়েছেন তা কল্পনাতীত।  

এ বুকিং সহকারী বলেন, সামনাসামনি প্রধানমন্ত্রীকে দেখেছি। এ ছাড়া পদ্মা সেতুর (ট্রেনের) প্রথম টিকিট দিয়েছি (বিক্রি করেছি)। আমি নিজেও দক্ষিণ বঙ্গের মানুষ, আমাদের এ সেতু নিয়ে আনন্দ-অনুভূতির শেষ নেই। আমি গোপালগঞ্জের মেয়ে। আমাদের বহুদিনের আশা পূর্ণ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আমাদের আশা পূর্ণ করেছেন।  

আরেক বুকিং সহকারী নুর জাহান বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে কাছ থেকে দেখেছি। আমাদের সঙ্গে হ্যান্ডশেক করেছেন, যা ছিল ভীষণ আনন্দের বিষয়। সঙ্গে থাকা সবাই টিকিট নিয়েছেন। প্রতিটি টিকিট (এসি) ১৪৯ টাকা।  

রেল কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা যায়, ১৪টি কোচে প্রায় চারশজন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পদ্মা সেতু অংশে ভ্রমণে অংশ নেন।

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত প্রায় ১৬৯ কিলোমিটার দীর্ঘ নতুন রেলপথ নির্মাণ করছে রেলওয়ে। এর মধ্যে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ৮২ কিলোমিটার রেলপথ চালু হচ্ছে।

যশোর পর্যন্ত পুরো প্রকল্প উদ্বোধন হবে ২০২৪ সালের জুনে। এ লক্ষ্য ঠিক করে এগিয়ে যাচ্ছে রেল কর্তৃপক্ষ।  

এ প্রকল্পের মাধ্যমে ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হবে ঢাকা-যশোর পর্যন্ত পদ্মা সেতু রেল লিংক রুটটি। এ রুট দিয়ে বাংলাদেশের রেলপথ ভারতের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২৩
এনবি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।