ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

গাবতলীতে যাত্রী কম, ছাড়ছে না দূরপাল্লার বাস

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২৩
গাবতলীতে যাত্রী কম, ছাড়ছে না দূরপাল্লার বাস

ঢাকা: বিএনপি-জামায়াতের ৭২ ঘণ্টা অবরোধে গাবতলী থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত কোনো গাড়ি ছেড়ে যায়নি। কোনো কোচ প্রবেশও করেনি।

ছেড়ে যাওয়ার জন্য গাড়ি প্রস্তুত থাকলেও যাত্রী নেই।  

মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকাল থেকে রাজধানীর দক্ষিণ-পশ্চিম-উত্তরের প্রবেশদ্বার গাবতলীতে এমন চিত্র দেখা গেছে।

গাবতলীর সবগুলো কাউন্টার খোলা রয়েছে। তবে দুয়েকটি কাউন্টারে মানুষ থাকলেও কোনো যাত্রীর দেখা মেলেনি।  

গাবতলীর ৩০টি কাউন্টারে খোঁজ করে ছয়টিতে কাউন্টার কাউন্টার-মাস্টার পাওয়া গেলো। বাকি কাউন্টারগুলোর জানালার সঙ্গে চেয়ারগুলো বাঁধা রয়েছে।  

কয়েকটি কাউন্টারের স্টাফরা জানিয়েছেন, অবরোধের কারণে আমরা গাড়ি ছাড়ছি না। আমরা এসে বসে আছি, যাত্রী নেই। যাত্রী এলে বাস ছাড়বো।

শ্যামলী বাস কাউন্টারের ম্যানেজার স্বপন জানান, সকাল সাড়ে ৬টায় এসে বসে আছি, এখন পর্যন্ত মাত্র একজন যাত্রী পেয়েছি।  

অপেক্ষমাণ যাত্রী ইসরাইল হোসেন জানান, অসুস্থ মাকে দেখতে বগুড়ায় বাড়ি যাচ্ছেন। কিন্তু একঘণ্টা ধরে বসে থাকলেও কোনো গাড়ি ছাড়ছে না।  

কাউন্টার থেকে জানানো হলো তাদের সব কাউন্টার মিলে একটি গাড়ি ছাড়া হবে। বেলা বাড়লে দুপুরে যাত্রী ও গাড়ির সংখ্যা বাড়বে।

হানিফ কাউন্টারে বসে থাকা আলী আজগর বলেন, আমাদের অনেক দোষ, আমার মালিক বিএনপি করে। কাউন্টার না খুললে মানুষ বলতে পারে বিএনপি করি এজন্য কাউন্টার খুলিনি। সকালে এসে কাউন্টার খুলে বসে আছি, যাত্রী নাই।

যাত্রী না থাকায় অলস সময় কাটাচ্ছেন কোচের কলার বয়রা। অন্যদিন যাত্রী থাকে; তাদের চিৎকার, হাক- ডাকে গাবতলী মুখর থাকে। আজ যাত্রী নেই, তাদেরও হাক- ডাক নেই।  

৭২ ঘণ্টার অবরোধ ডাকলেও ঢাকার দক্ষিণ-পশ্চিম-উত্তর অঞ্চলের প্রবেশদ্বারে বিএনপি-জামাতের কোনো পিকেটার নেই। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত রাত থেকে এ পর্যন্ত কোনো পিকেটার এখানে আসেনি। গাবতলী টার্মিনালের প্রবেশপথে আওয়ামী লীগ ও পরিবহন শ্রমিকরা লাঠি হাতে পাহারা দিচ্ছে।  

লাঠি হাতে অবস্থানরত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ঢাকা মহানগর  উত্তরের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান ও প্রচার প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম।  

আমিনুল ইসলাম জানান, বিএনপি-জামাতের অবরোধের নামে যাতে কোনো জানমালের ক্ষতি না করতে পারে, এজন্য আমরা বসে আছি। প্রত্যেকটি গাড়ি ছেড়ে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে, প্রস্তুত আছে যাত্রী পেলে তারা গাড়ি ছাড়বে।  

গাবতলীর টার্মিনাল কেন্দ্রিক শতাধিক বিভিন্ন ধরনের দোকান রয়েছে। আতঙ্কে যাত্রী আসছে না, বাস চলছে না-ফলে তাদেরও বেচাকেনা বন্ধ।  

যাত্রী কম থাকলেও পাটুরিয়া ও সাভারের কিছু বাস ছেড়ে যেতে দেখা গেছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১২২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২৩
জেডএ/এসআইএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।