ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

গোপালগঞ্জে সংগীতশিল্পী খালিদ হোসেনের দাফন সম্পন্ন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪১ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০২৪
গোপালগঞ্জে সংগীতশিল্পী খালিদ হোসেনের দাফন সম্পন্ন

গোপালগঞ্জ: আশি ও নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী, ‘চাইম’ ব্যান্ডের প্রধান ভোকালিস্ট খালিদ হোসেনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।  

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বাদ যোহর শহরের এসএম মডেল গভ. হাইস্কুল মাঠে জানাজা শেষে গেটপাড়া কবরস্থানে তার বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।

 

জানাজা নামাজে ঈমামতি করেন জেলা কোর্ট মসজিদের ঈমাম মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান। এসময় তার আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী, ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীসহ সহস্রাধিক মানুষ জানাজায় অংশ নেয়।  

জানাজা নামাজের আগে জেলা প্রশাসনের পক্ষে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মোহসিন উদ্দিন এবং নিহত বড় ভাই মেজবা উদ্দিন হাসান এ গুণী শিল্পীর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।  

এর আগে, মঙ্গলবার ভোর রাত ৪টায় খালিদ হোসেনের মরদেহ গোপালগঞ্জ শহরের বাসায় এসে পৌঁছে। সোমবার রাত ১১টায় ঢাকার গ্রিন রোড জামে মসজিদে খালিদ হোসেনের প্রথম জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। পরে জানাজা শেষে তার মরদেহ গোপালগঞ্জে নিয়ে আসা হয়। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও এক ছেলে রেখে গেছেন। তারা আমেরিকাতে বসবাস করেন বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, সোমবার সন্ধ্যায় হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ‘সরলতার প্রতিমা’, ‘যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে’, ‘কোনো কারণেই ফেরানো গেল না তাকে’, ‘যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে’-র মতো জনপ্রিয় গানের এই শিল্পী।

সন্ধ্যায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে খালিদকে তাৎক্ষণিকভাবে নিকটস্থ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কয়েক বছর ধরে হৃদ্‌রোগে ভুগছিলেন খালিদ; একাধিকবার হৃদরোগের চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি।  
১৯৮১ সাল থেকে গানের জগতে যাত্রা শুরু করেন তিনি। ১৯৮৩ সাল থেকে ‘চাইম’ ব্যান্ডে যোগ দেন। একের পর এক হিট গান উপহার দিয়ে অল্প সময়েই খ্যাতি পান খালিদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।