ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

দুর্গাপুরের টংক আন্দোলনের সংগ্রামী নেত্রী কুমুদিনী হাজং মারা গেছেন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪০ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২৪
দুর্গাপুরের টংক আন্দোলনের সংগ্রামী নেত্রী কুমুদিনী হাজং মারা গেছেন

নেত্রকোনা: নেত্রকোনার পাহাড়ি অঞ্চল দুর্গাপুরের টংক আন্দোলনের সংগ্রামী নেত্রী কুমুদিনী হাজং (৯২) মারা গেছেন।  

শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুর পৌনে ২টার দিকে বার্ধক্যজনিত কারণে উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়নের বহেরাতলী গ্রামের বাড়িতে মারা যান তিনি।

নিহতের স্বজনরা জানান, মৃত্যুকালে তিন ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন কুমুদিনী হাজং। তাঁর এক মেয়ে ঢাকায় অবস্থান করেন। তিনি আসার পর স্বজনদের সঙ্গে পরামর্শ করে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সময় নির্ধারণ করা হবে।  

ব্রিটিশ শাসনামলে ঐতিহাসিক টংক আন্দোলন ও হাজং বিদ্রোহের সাক্ষী কুমুদিনী হাজং। নেত্রকোনার দুর্গাপুর সীমান্তে তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা। ২০০০ সালে কুমুদিনীর স্বামী লংকেশ্বরের মৃত্যু হয়।

বৃহত্তর ময়মনসিংহের সুসং জমিদারি এলাকায় টংক প্রথার প্রচলন ছিল। ফসল হোক বা না হোক, নির্দিষ্ট পরিমাণ ধান খাজনা হিসেবে জমিদারকে দিতে হবে। ১৯৩৭ সালে শোষিত কৃষকেরা এ প্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেন, যা টংক আন্দোলন নামে পরিচিত।

কমিউনিস্ট নেতা কমরেড মনি সিংহের নেতৃত্বে টংক আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত হয় দুর্গাপুরের হাজং সম্প্রদায়ের মানুষেরা। এরই অংশ হিসেবে কুমুদিনী হাজংয়ের স্বামী লংকেশ্বর হাজং আন্দোলনে জড়িত হন। তৎকালীন পুলিশ ১৯৪৬ সালে ৩১ জানুয়ারি বগেরাতলী গ্রামে হানা দিয়ে কুমুদিনী হাজংকে উঠিয়ে নিয়ে যেতে চাইলে রাশিমনি হাজংয়ের নেতৃত্বে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়। এসময় কুমুদিনী হাজংকে পুলিশ নিতে পারেনি। তবে সেখানে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান রাশিমনি হাজং ও সুরেন্দ্র হাজং। পুলিশেরও দুজন সদস্য নিহত হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।