ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা চায় বাংলাদেশ

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১৪ ঘণ্টা, মে ৮, ২০২৪
মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা চায় বাংলাদেশ

ঢাকা: বাংলাদেশ ও উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদ (জিসিসি) এর মধ্যে অংশীদারিত্ব সংলাপ আয়োজনের উদ্দেশ্যে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের প্রথম বৈঠক রিয়াদস্হ জিসিসি সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।  

মঙ্গলবার (৭ মে) আয়োজিত বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সভাপতিত্ব করেন পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন।

এতে জিসিসি প্রতিনিধিদলের সভাপতিত্ব করেন জিসিসি সচিবালয়ের সহকারী মহাসচিব (রাজনৈতিক) ড. আব্দুল আজিজ আল উয়াইশেগ।

বৈঠকে দুই পক্ষের মধ্যে আগামী পাঁচ বছরের (২০২৪-২০২৮) রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ সুরক্ষা এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সহযোগিতার খসড়া যৌথ কর্ম পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। আলোচনায় ফিলিস্তিন পরিস্থিতি, আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা, লোহিত সাগরে পরিবহন নিরাপত্তা, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে করণীয়, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলা, সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রবাদ মোকাবিলা, সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে উভয় পক্ষের ফলপ্রসূ আলোচনা হয়।

খাদ্য নিরাপত্তা, কৃষিক্ষেত্রে সহযোগিতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাধা দূরীকরণ, জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ সুরক্ষায় পররাষ্ট্র সচিব সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা পেশ করলে, জিসিসি সদস্য রাষ্ট্রসমূহ ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেন। পররাষ্ট্র সচিবের প্রস্তাবনার মধ্যে চুক্তি ভিত্তিক কৃষি উৎপাদন, মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বেসরকারীখাতকে যুক্ত করা, নবায়নযোগ্য শক্তিতে সহযোগিতা কর্মপরিকল্পনাতে অন্তর্ভুক্ত সহযোগিতার ক্ষেত্রসমূহে আলোচনা এগিয়ে নেওয়ার জন্য কারিগরি কমিটি গঠনের প্রস্তাব করা হয়।

আলোচনায় পররাষ্ট্র সচিব জিসিসির সদস্য রাষ্ট্র সমূহের সঙ্গে বাংলাদেশে ঐতিহাসিক ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক  প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এক নতুন উচ্চতায় উঠেছে। এ সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও বেগবান হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি মধ্য প্রাচ্যের শান্তি ও স্থিতিশীলতার প্রতি বাংলাদেশে অবিচল সমর্থন ব্যক্ত করে বলেন বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।  

তিনি আরও বলেন, জিসিসি অঞ্চলে প্রায় ৫০ লক্ষাধিক বাংলাদেশি প্রবাসী বসবাস করেন, যারা বাংলাদেশ ও স্বাগতিক দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন। তাদের সার্বিক সহযোগিতা ও কল্যাণের জন্য কাজ করায় তিনি জিসিসি ভুক্ত দেশসমূহের সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

বৈঠকে আলোচিত খসড়া কর্মপরিকল্পনা পরবর্তী পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সভাতে চূড়ান্ত করার জন্য পেশ করা হবে।

২০২২ সালের ১৮ নভেম্বর জিসিসির সঙ্গে বাংলাদেশের মন্ত্রী পর্যায়ের নিয়মিত অংশীদারিত্ব সংলাপ অনুষ্ঠানের বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০০১৪ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০২৪
টিআর/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।