ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বাগেরহাটে অর্ধলক্ষাধিক মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৬ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২৪
বাগেরহাটে অর্ধলক্ষাধিক মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে

বাগেরহাট: প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমাল গতি বাড়িয়ে উপকূলের কাছাকাছি চলে এসেছে। বৃষ্টি ও বাতাসের গতি বাড়তে শুরু করেছে বাগেরহাট উপকূলে।

সন্ধ্যার আগমূহুর্ত থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়া শুরু করেছেন উপকূলবাসী। রেড ক্রিসেন্ট ও স্বেচ্ছাসেবকরা আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য স্থানীয়দের সহযোগিতা করছেন।

জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, অর্ধলক্ষাধিক মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে পৌঁছেছে। ঝুঁকিপূর্ণ স্থান থেকে ৩ হাজার গবাদি পশু নিরাপদ স্থানে নেওয়া হয়েছে।

রিমালকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের সতর্ক করতে প্রচারণা চালাচ্ছে কোস্টগার্ড, রেড ক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকরা। ঝুঁকিপূর্ণ স্থান থেকে সাইক্লোন শেল্টারে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে সাধারণ মানুষদের। তবে সারাদিন আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে মানুষজন কম গেলেও সন্ধ্যার দিকে মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।  

বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার বলেশ্বর নদীর তীরবর্তী বগি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে আসা শামসুন্নাহার বেগম বলেন, প্রথমে ভেবেছিলাম ঝড় অন্য দিকে চলে যাবে এজন্য দিনের বেলায় আশ্রয়কেন্দ্রে আসিনি। যতই সময় বাড়ছে আবহাওয়া খারাপের দিকে যাচ্ছে। বাড়ির সব কিছু গোছগাছ করে রেখে সন্ধ্যার ভেতর চলে এসেছি।

সাউথখালী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া আব্দুল মালেক ফরাজী বলেন, শুনছি বন্যা আসতেছে পরিবারের সবাইকে নিয়ে জীবন বাঁচাতে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে এসেছি। পরিস্থিতি যা দেখতেছি তাতে মনে হয় বাড়ি থাকলে ক্ষতি হবে।  

রায়েন্দা এলাকার আতিউর রহমান বলেন, এর আগে ঘূর্ণিঝড় সিডরের সময় আমাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে তাই এবার ঘূর্ণিঝড়ের সংকেত শোনার পর পরিবার এবং গবাদি পশু সাথে নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছি। রাতে সেখানেই থাকবো।  

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহা. খালিদ হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবেলায় জেলায় মোট ৩৫৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ইতিমধ্যে অর্ধলক্ষাধিক মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড, রেড ক্রিসেন্টসহ স্বেচ্ছাসেবকরা এলাকাবাসীকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার জন্য কাজ করছে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের মোংলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ হারুন অর রশিদ বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি শক্তি বৃদ্ধি করে উপকূলের একেবারে কাছাকাছি চলে এসেছে। বিকাল তিনটায় মোংলা বন্দর থেকে ২০০ কিলোমিটার দক্ষিণে ঘূর্ণিঝড়টির অবস্থান ছিলো। সন্ধ্যার পর ৩-৪ ঘণ্টার মধ্যেই ঘূর্ণিঝড়টি প্রবল বেগে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৩ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২৪
নিউজ ডেস্ক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।