ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বাংলাবান্ধায় নিষ্ক্রিয় করা হলো কুড়িয়ে পাওয়া মর্টারশেল

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১১ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২৪
বাংলাবান্ধায় নিষ্ক্রিয় করা হলো কুড়িয়ে পাওয়া মর্টারশেল

পঞ্চগড়: পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা এলাকায় কুড়িয়ে পাওয়া পরিত্যক্ত একটি মর্টারশেল নিষ্ক্রিয় করেছে সেনাবাহিনীর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট।

রোববার (১৪ জুলাই) দুপুরে তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা বাজার এলাকার পাশে একটি ফাঁকা স্থানে মর্টারশেলটি ধ্বংস করে সেনাবাহিনীর রংপুর ৬৬ পদাতিক ডিভিশনের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল।

এসময় তেঁতুলিয়া থানা-পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) বাংলাবান্ধা বিওপির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশ জানায়, গত ২৩ জুন দুপুরে এক নারী শ্রমিক পাথরের সাইটে পরিত্যক্ত অবস্থায় মর্টারশেলটি কুড়িয়ে পান। পরে সেটি ভারী লোহা মনে করে আল-আমিন ওয়ার্কশপের সামনে নিয়ে আসেন তিনি। এসময় সামনে থাকা আলম নামে এক ভাঙারির দোকানদার তা কেজি দরে ১৫০ টাকায় কিনে নেন। পরে লোকজন সেটি মর্টারশেল বলে চিনতে পেরে স্থানীয় ইউপি সদস্যকে জানান। ইউপি সদস্য এ তথ্য বিজিবি ও তেঁতুলিয়া মডেল থানা পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে বিজিবি ও পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই ওয়ার্কশপে নিরাপদ বেষ্টনী দিয়ে মর্টারশেলটি রাখে। এরপর সেনাবাহিনীর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেওয়া হলে রোববার (১৪ জুলাই) দুপুরে মর্টালশেলটি উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করা হয়।

নিষ্ক্রিয় করার সময় বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয় মর্টারশেলটি। এসময় স্থানীয় শত শত মানুষ সেখানে ভিড় করেন। মরিচা ধরা মর্টারশেলটি ৫১ মিলিমিটার প্যাকেট বোম্ব বলে শনাক্ত করা হয়েছে। মরিচা ধরার কারণে এটির তৈরিসংক্রান্ত তথ্য জানা যায়নি।

তেঁতুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজয় কুমার রায় জানান, সব আইনি প্রক্রিয়া শেষে সেনাবাহিনীর দল এসে মর্টালশেলটি নিষ্ক্রিয় করেছে।

এর আগে দুবার একই ইউনিয়ন থেকে পাথরের এলাকা থেকে দুটি পরিত্যক্ত মর্টারশেল উদ্ধার করা হয়। পরে সেগুলো নিষ্ক্রিয় করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২৪
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।