ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কলারোয়ায় একদিনে ভেঙে পড়ল ৩ সেতু

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪
কলারোয়ায় একদিনে ভেঙে পড়ল ৩ সেতু বেত্রাবতী নদীর ওপর নির্মিত বেইলি ব্রিজ ভেঙে পড়েছে

সাতক্ষীরা: তীব্র স্রোতে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় একইদিনে ভেঙে পড়েছে বেত্রবতী নদীর তিন সেতু। এরমধ্যে একটি বেইলি ব্রিজ ও দুটি কাঠের।

এতে কলারোয়া উপজেলা সদর, পৌরসভার ৩টি ওয়ার্ড ও উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। একইসঙ্গে কলারোয়ার সঙ্গে যশোরের কেশবপুর, মনিরামপুর ও ঝিকরগাছা উপজেলা এবং সাতক্ষীরার তালা উপজেলার সড়ক যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

কলারোয়া পৌর এলাকার আসাদুজ্জামান জানান, গত বছরের আগস্টে উপজেলা ও পৌর সদরের প্রাণকেন্দ্র পশুহাট মোড়ের বেত্রাবতী নদীর ওপর পাকা ব্রিজের নির্মাণকাজ শুরু হয়। আট মাস বন্ধ থাকার পর চলতি বছরের মে মাসে আবার কাজ শুরু হলে পুরোনো ব্রিজটি ভেঙে ফেলে যাতায়াতের বিকল্প হিসেবে পাশে লোহার বেইলি ব্রিজ স্থাপন করা হয়। সেই বিকল্প বেইলি ব্রিজটিই হয়ে পড়ে উপজেলার জালালাবাদ, বাটরা, কয়লাসহ ছয়টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার তিনটি ওয়ার্ডের মানুষের একমাত্র যাতায়াতের মাধ্যম। বৃহস্পতিবার সেই বিকল্প ব্রিজটি পানির তোড়ে ধসে গিয়ে রাস্তা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এতে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে অর্ধলক্ষাধিক মানুষ।

কলারোয়া পৌরসভার কাঁচাবাজার এলাকার বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম জানান, পৌরসদরের তরকারি বা কাঁচা বাজার ও মাছ বাজার সংলগ্ন কাঠ ও বাঁশ দিয়ে নির্মিত সাঁকো কিছু দিন আগে ভেঙে যায়। এরপর সেটা সংস্কার করে যাতায়াতের উপযোগী করা হয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে বেত্রবতী নদীর পানির ব্যাপক তোড়ে কাঠের সাঁকোটি মাঝখান থেকে ভেঙে দু’খণ্ড হয়ে যায়। এতে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সাঁকো ব্যবহারকারী দুই পাড়ের মানুষ।

গোপিনাথপুর এলাকার আরিফ মাহমুদ জানান, পৌরসভার গোপিনাথপুর তারকনন্দী নামক স্থানের কাঠের বড় সেতুটির মাঝ বরাবর ভেঙে যেয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

কলারোয়া পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, কলারোয়া উপজেলার বুক চিরে বয়ে যাওয়া বেত্রবতী নদীর উভয় পাশে ৬টি করে মোট ১২টি ইউনিয়ন রয়েছে। ব্রিজগুলো ভেঙে যাওয়ায় পূর্ব পাশের ৬টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার ৩টি ওয়ার্ডের সাথে পশ্চিম পাশের কলারোয়া উপজেলা সদর ও পৌর সদরসহ ৬টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার ৬টি ওয়ার্ডের যোগাযোগ বহুলাংশে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে উপজেলার ওই ৬ ইউনিয়ন ও পৌরসভার ৩ ওয়ার্ডের মানুষ সহজে আর কলারোয়া উপজেলা সদরে আসতে পারছেন না। তেমনি নদীর এপারের ৬ ইউনিয়ন ও পৌরসভার ৬টি ওয়ার্ডের মানুষ ওপারে যেতে পারছেন না। এখন নদী পারাপার ও সড়ক যোগাযোগের একমাত্র পথ উপজেলা সদরের ৩ কিলোমিটার দূরে মুরারীকাটি হাইস্কুল সংলগ্ন পাকা ব্রিজটি।

সেতু মেরামতের বিষয়ে পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা তুষার কান্তি দাশ বলেন, আমরা কাঠের সেতু দুটো ব্যবহার উপযোগী করার উদ্যোগ নিচ্ছি। এক-দুদিনের মধ্যে কাঠের সেতু দুটো সংস্কার করা হবে।

কলারোয়া পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম জানান, বেইলি ব্রিজটি সওজের আওতাধীন। আমরা সওজ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।