ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

দুই সন্তানকে গলা কেটে হত্যা, এখনো শঙ্কামুক্ত নন সেই বাবা 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২৪
দুই সন্তানকে গলা কেটে হত্যা, এখনো শঙ্কামুক্ত নন সেই বাবা 

ঢাকা: রাজধানীর মিরপুর পল্লবী ব্যাপারী মার্কেট এলাকায় নিজের দুই সন্তানকে গলা কেটে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বাবা আহাদ মিয়া নিজে।  

গত ১৬ নভেম্বর সকালে যথাক্রমে ৭ ও ৩ বছর বয়সী দুইভাই রোহান এবং মুছাকে ঘটনাস্থালে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেলেও  ৪০ বছর বয়সী বাবা আহাদ মিয়াকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়।

 

আহাদ মিয়া বর্তমানে  ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুরাতন ভবনের তৃতীয় তলায় নাক কান গলা বিভাগে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসক বলছেন, আহাদের অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হলেও শঙ্কামুক্ত নয়।  

এই ঘটনায় নিহত দুই শিশুর মা রোজিনা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন। সেই মামলায় একমাত্র আসামি হচ্ছেন তার স্বামী আহাদ মিয়া।

রোববার (১৭ নভেম্বর) রাতে হাসপাতালের নাক কান গলা বিভাগের ৩০৩ নাম্বার ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায় বিছানায় পুলিশ পাহারায় আহাদ মিয়ার চিকিৎসা চলছে। তার গলার কয়েক জায়গায় ব্যান্ডেজ। গলায় নিজে চুরি চালিয়ে জখম করার কারণে কথাবার্তা বলতে পারছে না। এদিক সেদিক ফেল ফেল বারবার তাকাচ্ছেন।

নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক দায়িত্বরত এক চিকিৎসা জানান, গতকাল গলা কাটা অবস্থায় পুলিশ সদস্যরা আহাদকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে অস্ত্রোপচার কক্ষে ঢুকিয়ে তার চিকিৎসা করা হয়। তার গলায় অনেকগুলো সেলাই দেওয়া হয়েছে। গতকাল কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানিয়েছিলেন, আহাদ মিয়ান নামের ওই ব্যক্তির শ্বাসনালী কাটা পরেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এদিকে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, গতকাল রাতেই হত্যাকাণ্ডের শিকার দুই শিশুর মা রোজিনা বাদী হয়ে আহাদ মিয়ার বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন।  

তিনি আরো জানান, ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে আহাদ ঋণগ্রস্ত, পাশাপাশি তার স্ত্রী রোকেয়া বিভিন্ন ম্যাসে ও বাসাবাড়ি গৃহকর্মী কাজ করে। সেটা তার স্বামী আহাদ মিয়া মেনে নিতে পারেনি। অনেকবার তার স্ত্রীকে বারণ করেছে, এইসব কাজ না করার জন্য। কিন্তু আহাদ মিয়ার এসব কথা মানেনি তার স্ত্রী রোকেয়া। এইসব নিয়ে স্বামী স্ত্রীর প্রায় সময় ঝগড়া হতো। ঋণগ্রস্ত ও সাংসারিক এসব ঝামেলা নিয়ে মানসিক অশান্তিতে ছিলেন আহাদ মিয়া। এই কারণে দুই শিশুকে নির্মমভাবে হত্যা করে নিজেই গলায় চুরি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
 
এছাড়া এ হত্যাকাণ্ডের আরো অন্য কোনো কারণ আছে কিনা সেই দিকটিও তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।

আহত আহাদ মিয়া যে সময় যে কাজ পেতো সেটাই করতো তবে ঘটনার আগে সে নিরাপত্তার রক্ষীর চাকরি করতো।

আরও পড়ুন: মিরপুরে দুই ছেলেকে গলা কেটে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যার চেষ্টা 

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২৪
এজেডএস/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।