ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত নাঈম নিজ গ্রামে চিরনিদ্রায়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০২৪
পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত নাঈম নিজ গ্রামে চিরনিদ্রায়

ফেনী: জানাজা শেষে গাজীপুরের শ্রীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিহত মীর মোজাম্মেল হোসাইন নাঈমকে তার নিজ গ্রামে দাফন করা হয়েছে।

রোববার (২৪ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে ফেনী সদর উপজেলার শর্শদি ইউনিয়নের ফতেহপুর ঈদগাহ মাঠে নাঈমের জানাজা হয়।

পরে তাকে তার দাদা-দাদির কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।

এর আগে শনিবার দিবাগত রাতে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির মেকানিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী নাঈমের মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি পৌঁছায়। ছেলের লাশ দেখে বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন বাবা-মা। নাঈম

নিহত নাঈম ফেনী শহরের মাষ্টারপাড়ায় বসবাস করতেন। তার বাবা মোতাহার হোসেন শাহীন সাউথ ইস্ট ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক তাদের গ্রামে বাড়ি সদর উপজেলার শর্শদি ইউনিয়নের ফতেহপুর ভূঞা বাড়ি। ২০১৯ সালে ফেনী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন।

মোতাহার হোসেন শাহীন বলেন, আমার ছেলে অত্যন্ত নম্র-ভদ্র, বিনয়ী ও মেধাবী ছিল। দেশবাসীর কাছে ছেলের জন্য দোয়া চাই। আল্লাহ যেন আমার ছেলেকে শহিদি মর্যাদা দান করেন। পরিবার যেন এ শোক কাটিয়ে উঠতে পারে সেজন্য সকলের দোয়া চাই।

নিহতের চাচা মাওলানা মুফতি মোফাচ্ছের হোসেন মামুন বলেন, আমার ভাই-ভাবির স্বপ্ন ছিল নাঈমকে দেশ সেরা প্রকৌশলী করা। তার মৃত্যুর জন্য পল্লি বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ দায়ী। তাদের অবহেলার কারণে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে।

আব্দুল্লাহ নামে নাঈমের এক সহপাঠী বলেন, বন্ধুদের মধ্যে সে-ই কিছুটা ব্যতিক্রম ছিল। সে সহজে সবার সঙ্গে মিশতে পারতো। নাঈমের নিহত হওয়ার ঘটনায় জড়িতদের তদন্তের মাধ্যমে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান আব্দুল্লাহ।

গতকাল শনিবার সকালে গাজীপুর মহানগরের বোর্ড বাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির মেকানিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের প্রায় ৪৬০ জন শিক্ষার্থী উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের উত্তর পেলাইদ গ্রামের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে যাচ্ছিল। বিআরটিসির ৬টি ডাবল ডেকার বাস ও তিনটি মাইক্রোবাসে চড়ে যাচ্ছিলেন তারা।

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো আঞ্চলিক সড়ক ধরে রিসোর্টের দিকে যাওয়ার সময় উত্তর পেলাইদ গ্রামের উদয়খালী বাজারে পৌঁছলে বিআরটিসির একটি ডাবল ডেকার বাস পল্লী বিদ্যুতের তারের সঙ্গে লেগে যায়। এতে বাসটি বিদ্যুতায়িত হয়ে পড়ে এবং বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

রোববার জানাজার আগে নাঈমের মৃত্যুতে শোক ও সমবেদনা জানিয়ে বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ফেনী জেলা জামায়াতের সাবেক আমির অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূঞা, একেএম শামসুদ্দিন, জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মুফতি আবদুল হান্নান, শর্শদি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০২৪
এমএইচডি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।