ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

আ.লীগ রাজনীতি করার বৈধতা রাখে কি না, নির্ধারণে গণভোটের দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০২৪
আ.লীগ রাজনীতি করার বৈধতা রাখে কি না, নির্ধারণে গণভোটের দাবি সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন ‘বাংলাদেশের জনগণ’র মুখপাত্র আবু মুস্তাফিজ। ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে রাজনীতি করার বৈধতা রাখে কি না তা গণভোটের মাধ্যমে নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে ‘বাংলাদেশের জনগণ’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম। পাশাপাশি আরও ছয়টি দাবি উত্থাপন করেছে তারা।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‌‘বাংলাদেশ রাষ্ট্র, জনগণের রাজনীতি ও আমাদের কর্মসূচি’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি এই দাবি তুলে ধরে।  

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ‘বাংলাদেশের জনগণ’র মুখপাত্র আবু মুস্তাফিজ বলেন, একাত্তরে একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ সংঘটিত হলেও বিগত পঞ্চাশ বছরের দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় বাংলাদেশ একটি কার্যকর ‘রাষ্ট্র’ হয়ে উঠতে পারেনি। শুরুতেই দেশের বিপুল জনগোষ্ঠীর আশা, আকাঙ্ক্ষা, স্বপ্ন ছুড়ে ফেলে দিয়ে স্বাধীনতার সকল সুফল আত্মসাৎ করেছে একটিমাত্র দল ও পরিবার। ফলে যে ধরনের ক্ষমতা-কাঠামো, প্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে উঠলে একটি গণপ্রতিনিধিত্বমূলক রাষ্ট্র পত্তনের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়, জন্মলগ্ন থেকেই বাংলাদেশ তার সম্পূর্ণ বিপরীত বাস্তবতায় বিকশিত হয়েছে। এজন্য একদিকে যেমন তৎকালীন রাজনৈতিক শক্তিসমূহের গণবিরোধী ও নিয়ন্ত্রণকামী মনোভাব দায়ী, ঠিক তেমনি গণরাষ্ট্র হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সামনে বরাবরই প্রতিবন্ধকতা হিসেবে হাজির হয়েছে ভারত রাষ্ট্রের নিজস্ব ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ।

তিনি আরও বলেন, ঔপনিবেশিক সূত্রেই ভারতের সঙ্গে পূর্ববঙ্গের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর সম্পর্ক একপাক্ষিক শোষণ, নিপীড়ন ও আগ্রাসনের। জমিদারি শোষণ থেকে শুরু করে সাম্প্রদায়িক নিপীড়ন, জাতিগত অপরায়ন ও মুসলমান বিদ্বেষের যে সিলসিলা ঔপনিবেশিক প্রভুর আনুকূল্যে ব্রাহ্মণ্যবাদী শক্তি প্রায় সর্বত্র প্রতিষ্ঠা করেছিল, দিনে দিনে তা আরও বহুমাত্রিক ও প্রকট হয়েছে। এজন্য দুই দফায় স্বাধীনতা লাভের পরও বঙ্গীয় ব-দ্বীপের উপর দিল্লীর আধিপত্যবাদী আগ্রাসন মোটেই স্তিমিত হয়নি, বরং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক পরিসরে ভারতপন্থী প্রভাববলয় শক্তিশালী রূপ পরিগ্রহ করেছে। সাম্প্রতিক ইতিহাসে ফ্যাসিস্ট শাসনামলের পুরোটা জুড়ে ঘৃণিত স্বৈরাচার হাসিনার একমাত্র বিশ্বস্ত বন্ধু ছিল ভারত। এ সময় ভারতকে অসংখ্য অন্যায্য চুক্তি, বাণিজ্য সুবিধাসহ সাংস্কৃতিক বিস্তার ও রাজনৈতিক ক্ষমতাচর্চার একচেটিয়া সুবিধা দিয়েছে হাসিনার সরকার। বিপরীতে বিনাভোটে নির্বাচিত অবৈধ প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে ভারত ঘোষিতভাবে সমর্থন ও সহযোগিতা প্রদান করে এসেছে। ফ্যাসিস্টের পক্ষে এবং আপামর জনতার বিপক্ষে সরাসরি অবস্থান নিয়ে ভারত এ সময় প্রকারন্তরে বাংলাদেশের সঙ্গে তার স্বভাবসুলভ আধিপত্যমূলক সম্পর্ককেই পুনঃমঞ্চায়িত করেছে।

চার প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশে ‘দিল্লির প্রবেশদ্বার’ আখ্যা
বাংলাদেশে দিল্লি-স্বার্থের রাজনীতি বাস্তবায়নে আওয়ামী লীগ ভারতের পরীক্ষিত মিত্র জানিয়ে আবু মুস্তাফিজ আরও বলেন, দলটির প্রত্যক্ষ সহায়তা ও সমর্থনেই ভারতের হিন্দুত্ববাদী রাজনৈতিক উপকরণ ও প্রবণতা বাংলাদেশে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ সম্ভব হয়েছে। এ ছাড়া এ দেশের প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠান, বিদ্যায়তন, শিল্প-সাহিত্য অঙ্গন ও সুশীল সমাজের বড় অংশ ধারাবাহিকভাবে দিল্লির সাংস্কৃতিক মুখপাত্র হিসেবে কাজ করেছে।  

‘নির্দিষ্ট করে বললে, প্রথম থেকে বাংলাদেশে ভারতীয় সাংস্কৃতিক আধিপত্যবাদের উৎপাদন, বণ্টন ও বিনিময় অব্যাহত রেখেছে প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, ছায়ানট, উদীচীর মতো বয়ান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। অভিন্ন প্রকল্প ও প্রভুভক্তি থাকার কারণে এসব প্রতিষ্ঠান বিগত ফ্যাসিস্ট শাসনকেও ব্যাপকভাবে সমর্থন এবং উদযাপন করেছে। দিল্লি ও ফ্যাসিবাদী শক্তির পক্ষে বয়ান উৎপাদনের মধ্য দিয়ে এ প্রতিষ্ঠানগুলো যে গণবিরোধী ও গণবিদ্বেষী অবস্থান নিয়েছে, তা আজ দিনের আলোর মতো প্রত্যক্ষ। দিল্লির মদদপুষ্ট, ফ্যাসিজমের তল্পিবাহক এই সাংস্কৃতিক বলয়কে অবিকল জিইয়ে রেখে বাংলাদেশে কোনো কার্যকর গণরাজনীতির সূচনা করা সম্ভব নয়।

দেড় দশকের দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর জুলাইয়ের রক্তক্ষয়ী গণবিদ্রোহ ও স্বতঃস্ফূর্ত সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্ট শাসনের যবনিকাপাত ঘটেছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার যৌথ প্রতিরোধের মুখে কঠোর গোপনীয়তায় শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ ও পলায়ন করতে বাধ্য হয়েছে একুশ শতকের ঘৃণ্যতম স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ তো বটেই, সমগ্র এশিয়ার রাজনৈতিক বাস্তবতায় ছাত্র-জনতার এই ঐতিহাসিক অর্জন নিঃসন্দেহে নতুন এক মাইলফলক। স্বাধীন দেশ হিসেবে অভ্যুদয়ের পর বাংলাদেশ ভূ-খণ্ডে এর থেকে ব্যাপক ও বৃহত্তর কোনো রাজনৈতিক রূপান্তরের সম্ভাবনা কখনোই পরিলক্ষিত হয়নি। জুলাই অভ্যুত্থান তাই বাংলাদেশের ইতিহাসে গণ-ক্ষমতার উদ্বোধনের নজিরবিহীন এক দৃষ্টান্ত। কিন্তু এতদসত্ত্বেও যে কাঙ্ক্ষিত নয়া রিপাবলিক নির্মাণ ছিল এ অভ্যুত্থানের অন্যতম ভরবিন্দু, তা আজ অনেকটাই সুদূর পরাহত। ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হলেও ফ্যাসিস্টের রেখে যাওয়া কাঠামো এখনো প্রায় অক্ষত রয়েছে। যেসব প্রতিষ্ঠান স্বৈরাচারের সহযোগী ও সেবক হিসেবে কাজ করেছে, অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়েও তাদের প্রভাব-প্রতিপত্তি আগের মতোই প্রবল। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, পরিবর্তিত বাস্তবতায় কোনো রকম দৃশ্যমান চ্যালেঞ্জ, প্রতিবাদ কিংবা প্রতিরোধ মোকাবেলা ব্যতিরেকেই স্বৈরাচারের সহযোগী শক্তি নিজেকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে। এ-ও বোঝা যায়, হাসিনা-উত্তর বাংলাদেশেও দিল্লির প্রভাব ও আধিপত্য বিভিন্ন মাত্রায় সক্রিয়। এটা স্বাধীন, সার্বভৌম এবং অভ্যুত্থানজাত নয়া বাংলাদেশের সামগ্রিক বিকাশের জন্য চূড়ান্ত হুমকি, গণ-কল্যাণমুখী কার্যকর রাষ্ট্র হয়ে ওঠার পথে অন্যতম বাধা।

‘বাংলাদেশের জনগণ’র মুখপাত্র আরও বলেন, এমতাবস্থায় ফ্যাসিবাদের প্রত্যাবর্তন ঠেকিয়ে অভ্যুত্থানের প্রতিজ্ঞা বাস্তবায়ন যেমন জরুরি, একইসঙ্গে সকল স্তরে ফ্যাসিবাদী কাঠামো খোলনলচে বদলে ফেলা সময়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। পাশাপাশি বিগত দেড় দশক যারা ফ্যাসিজমের পক্ষে সম্মতি উৎপাদন করেছে, দিল্লির প্রকল্প বাস্তবায়নে তৎপর থেকেছে, তাদের চিহ্নিত করে প্রকাশ্য জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসা অভ্যুত্থানজাত সরকারের অনিবার্য দায়। এর বাইরে যে সকল প্রতিষ্ঠান, সংগঠন ও পক্ষ দিল্লি ও ফ্যাসিস্টের দোসর হিসেবে সক্রিয়তা দেখিয়েছে, আমূল সংস্কার ও পুনর্গঠন ব্যতিত তাদের অনুমোদন দেওয়া আত্মঘাতী, অভ্যুত্থান ও বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে প্রতারণার শামিল। এ কথা সন্দেহাতীত, অধিপত্যবাদী ভারতের বিপক্ষে দুর্জয় প্রতিরোধ গড়ে তোলা ব্যাতীত এ ভূ-খণ্ডের মানুষের মুক্তি নাই। আমরা বিশ্বাস করি, কেবল দিল্লি ও তার রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক দোসরদের চূড়ান্ত পতনই পারে একটি নতুন রিপাবলিকের শর্ত ও সম্ভাবনা তৈরি করতে। সেই লক্ষ্যে ফ্যাসিস্ট শক্তি ও দিল্লির নয়া উপনিবেশিক আধিপত্যবাদ প্রতিরোধ এবং একটি গণ-ক্ষমতাভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের উপযুক্ত পরিসর ও প্রেক্ষাপট প্রস্তুত করাই আমাদের রাজনীতি।

সংবাদ সম্মেলনে সাত দফা দাবি ও এই প্ল্যাটফর্মের পরবর্তী কর্মসূচি তুলে ধরেন ‘বাংলাদেশের জনগণ’র উপদেষ্টা মাসুদ জাকারিয়া। দাবিগুলো হলো-

১. দিল্লির তাঁবেদার ও গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট শক্তি আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে রাজনীতি করার বৈধতা রাখে কি না, গণভোটের মাধ্যমে তা নির্ধারণ করতে হবে। পাশাপাশি বিগত ফ্যাসিস্ট শাসনে সংঘটিত সব গুম, খুন, গণহত্যা, দুর্নীতি ও অপরাধের জন্য দায়ী আওয়ামী লীগ এবং তার সহযোগীদের ব্যক্তিগত ও সাংগঠনিক পর্যায়ে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

২. ফ্যাসিস্ট রেজিমের রেখে যাওয়া রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ নিশ্চিত করতে হবে এবং গণ-ক্ষমতায়তন নিশ্চিতকল্পে নতুন গঠনতন্ত্র প্রণয়ন করতে হবে। এজন্য অবিলম্বে গণপরিষদ গঠন করতে হবে এবং নয়া নির্মিত সংবিধান গণভোটের মাধ্যমে চূড়ান্ত করতে হবে।

৩. অবাধে ফ্যাসিস্ট পুনর্বাসন প্রক্রিয়া বন্ধ করতে একটি ‘ট্রুথ অ্যান্ড রিকন্সিলিয়েশন কমিশন’ গঠন করতে হবে। পাশাপাশি সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসনের প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যকর মৈত্রী স্থাপন করতে হবে। বিশেষত জুলাই অভ্যুত্থানে গুলি করা এবং গুলির নির্দেশদাতা প্রতিটি ব্যক্তিকে দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।

৪. বাংলাদেশে দিল্লির প্রবেশদ্বার প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, উদীচী, ছায়ানটসহ ভারতপন্থী অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনকে তাদের গত বিশ বছরের যাবতীয় আয়-ব্যায়ের হিসাব/ব্যালেন্স-শিট জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে। সেইসঙ্গে বাংলাদেশ-বিরোধী উদ্দেশ্যমূলক বয়ান উৎপাদন ও বণ্টনের ব্যাপারে তাদের প্রকাশ্যে জবাবদিহি করতে হবে।

৫. উপরিউক্ত প্রতিষ্ঠানসহ ফ্যাসিবাদী শক্তির সকল সহযোগী প্রতিষ্ঠান/সংগঠন সংস্কার, পুনর্গঠন, পর্যবেক্ষণ ও গণ-জবাবদিহিতা নিশ্চায়নের স্বার্থে একটি স্বাধীন বোর্ড গঠন করতে হবে। এ সকল প্রতিষ্ঠান/সংগঠন যেন বাংলাদেশ ও তার জনগণের পক্ষে অবদান রাখতে বাধ্য থাকে, তার জন্য এই বোর্ড প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার এখতিয়ার রাখবে।

৬. ২০১৪, ২০১৮, ২০২৪ সালের প্রহসনের নির্বাচনকে অবৈধ ঘোষণা করতে হবে। এ তিন অবৈধ নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। সেইসঙ্গে ফ্যাসিস্ট রেজিমের সব প্রকাশ্য ও গোপনীয় চুক্তি জনসম্মুখে হাজির করতে হবে।

৭. দিল্লি কিংবা ফ্যাসিস্ট শক্তির সঙ্গে রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত সকল দল, সংগঠন, প্রতিষ্ঠান ও পক্ষকে জনতার মুখোমুখি করার প্রক্রিয়া তৈরি করতে হবে, যা বাংলাদেশের পক্ষ-বিপক্ষ নির্ধারণে জনগণকে সহায়তা করবে।

এসব দাবি বাস্তবায়নে নিজেদের পরবর্তী কর্মসূচি তুলে ধরে মাসুদ জাকারিয়া বলেন, আমরা ডেইলি স্টারের সামনে নামাজ পড়েছি ও প্রথম আলোর সামনে জিয়াফতের আয়োজন করেছি। এভাবে আমরা আমাদের প্রতিবাদ জানিয়েছি। আমরা সামনে এমন সামাজিক জিয়াফতের আয়োজন করবো যাত্রাবাড়ীতে। শীঘ্রই আপানাদের (সাংবাদিক) তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে। এছাড়া আমরা একটি মিডিয়া মনিটরিং ইনস্টিটিউট করছি। আগামী ১৪ তারিখ বিকেল ৪টায় বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে একটি সিম্পোজিয়াম আয়োজন করছি। সেখানে চারটি প্যানেল আলোচনা হবে। এছাড়া আমরা স্টার্টআপ মিডিয়া করতে চাই, পিপলস মিডিয়া নামে। জনগণের মিডিয়া কেমন হওয়া উচিত, বাংলাদেশের পক্ষে কেমন সংবাদ প্রকাশ করা উচিত তা ওই প্রতিষ্ঠান করবে। এছাড়াও আমরা সভা, সমাবেশ করবো।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিল অ্যাগেইনস্ট ইনজাস্টিজের আহ্বায়ক শের মোহাম্মদ।

বাংলাদেশ সময়: ২২০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০২৪
এসসি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ