ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। ভারত থেকে ফিরে আসা বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি সীমান্তের ওপারে হয়রানি ও হামলার অভিযোগ করেছেন।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) পণ্য পরিবহন স্বাভাবিক থাকলেও এ বন্দর দিয়ে যাত্রী পারাপার প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে।
পূর্বাঞ্চলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বন্দর আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৬০০ যাত্রী পারাপার হন। কিন্তু মঙ্গলবার ভারতে গেছেন ১৫২ জন। ভারত থেকে বাংলাদেশে এসেছেন ১৪৬ জন। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও ভাঙচুরের পর প্রভাব পড়েছে দুই দেশের যাত্রী পারাপারের ওপর।
এদিকে আখাউড়া সীমান্ত অভিমুখে বিজেপি সমর্থকদের লংমার্চ কর্মসূচিকে ঘিরে দিনভর উত্তেজনা ছিল এ সীমান্তে। ফলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পক্ষ থেকে। আখাউড়া স্থলবন্দরে বিজিবিকে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।
ভারত থেকে ফেরা যাত্রীরা জানান, সোমবার (২ ডিসেম্বর) থেকে আগরতলায় কোনো বাংলাদেশি যাত্রীকে হোটেল ভাড়া দেওয়া হচ্ছে না। এতে করে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। বাধ্য হয়ে যাত্রীরা প্রয়োজনীয় কাজ না সেরেই দেশে ফিরে আসছেন।
পাশাপাশি সীমান্তের ওই পার থেকে ফিরে আসা যাত্রীরা শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতিত হয়েছেন বলেও অভিযোগ করেছেন।
ভারতীয়দের এহেন আচরণে বাংলাদেশি যাত্রীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ইনচার্জ খায়রুল আলম জানান, যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকলেও কিন্তু আগের চেয়ে যাত্রী পারাপার অর্ধেকে নেমে এসেছে। তবে আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০২৪
এসআই