ঢাকা, বুধবার, ১২ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৬ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

দেশের সকল সংকটকালে জিয়া পরিবার সামনে এসেছে: আমান

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৫
দেশের সকল সংকটকালে জিয়া পরিবার সামনে এসেছে: আমান মেহেরপুরে বিএনপির জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমান উল্লাহ আমান

মেহেরপুর: বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ডাকসুর সাবেক ভিপি আমান উল্লাহ আমান বলেছেন, বাংলাদেশে যখনই কোন সংকট এসেছে তখনই জিয়া পরিবার সামনে এসেছে। ১৯৭১ সালে মানুষ যখন দ্বিকবিদিক ছোটাছুটি করছে ঠিক তখন কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে শহীদ জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন।

 

আজ মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মেহেরপুর সরকারি কলেজ মাঠে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সহনীয় পর্যায়ে রাখা, অবনতিশীল আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, দ্রত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা এবং রাষ্ট্রে পতিত ফ্যাসিবাদের নানা চক্রান্তের অপচেষ্টা মোকাবেলাসহ বিভিন্ন দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মেহেরপুর জেলা বিএনপি এ জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।

আমান উল্লাহ আমান বলেন, শেখ মুজিব মানুষের কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছিলেন। মানুষের কথা বলার অধিকার ছিল না। চারটি সংবাদপত্র রেখে বাকী সব সংবাদপত্র বন্ধ করে দিয়েছিলেন।  
সেসময় প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে সব সংবাদপত্র খুলে দিয়েছিলেন, সব দলকে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করেছিলেন।

খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে সংসদে বিল পাশ করে সংসদীয় গণতন্ত্র এনেছেন। তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু করেছেন। তিন তিনটা ভোট সেই তত্বাবধায়ক ব্যবস্থায় হয়েছে।

তিনি বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা বিএনপি নেতা ইলিয়াছ আলী, চৌধুরী আলম, সুমনকে গুম করেছিল। দলের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছিল। সর্বশেষ জুলাই আগস্টের ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেলাম। আগামীতে নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে বিএনপি সরকার গঠন করবে।

নেতাকর্মীদের হুশিয়ারি দিয়ে আমান উল্লাহ আমান বলেন, দলে নেতৃত্বের প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবে। কিন্তু কেউ দলের বিরুদ্ধে কাজ করবেন না। দলের বিরুদ্ধে কাজ করলে ছিটকে যাবেন। ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। আর দলের বিরুদ্ধে কাজ করলে ছিটকে পড়বেন। তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে সবাইকে।  

মেহেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাভেদ মাসুদ মিল্টনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কামরুল হাসানের সঞ্চালনায় জনসভা বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি মাসুদ অরুন এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন।
আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের মহাসচিব জাকির হোসেন, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ইলিয়াছ হোসেন, আনসারুল হক, হাফিজুর রহমান হাফি, আলমগীর খান ছাতুমোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, গাংনী উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল হক, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আওয়াল, জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, মেহেরপুর জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বিপ্লব, জেলা যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি আব্দাল হক ও সাধারণ সম্পাদক কাওছার আলী।
জনসভার শুরুতেই পিলখানায় হত্যাকান্ডে নিহত সেনা সদস্যদের স্বরণে ২৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সেনাশোক দিবস উপলক্ষে সভাস্থলে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।